বাবুল আহমেদ,মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের গ্রেফতার নেতাকর্মীকে ছাড়িয়ে নিতে সড়ক অবরোধ ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মা বাবা ভাই ও স্ত্রী সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, সোমবার উপজলো ছাত্রলীগের সক্রিয়কর্মী গোলাম রাব্বিকে ছাড়িয়ে নিতে রাতে থানার সামনের সড়ক অবরোধ করে গোলাম রাব্বির পরিবার ও স্বজনরা। এ সময় ছাত্রলীগকর্মী গোলাম রাব্বির পরিবার প্রিজনভ্যানের সামনে গিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তারা পুলিশ সদস্যকে গালাগালি ও তাকে ছেড়ে দিতে হুমকি দিতে থাকে। আসামিদের কোর্টে নিতে বাধা দিলে পুলিশ চারজনকে আটক করে। সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় সোমবার বিকেলে পৃথক অভিযান চালিয়ে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বাকা (৫৬), সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক (৪৫), সাটুরিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (৫৪), সাটুরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয়কর্মী গোলাম রাব্বি (২৬) গ্রেফতার করি। ছাত্রলীগকর্মী গোলাম রাব্বিকে থানায় নিয়ে আসার পর থেকেই তার পরিবারের সদস্যরা ভিড় করতে থাকে। হট্টগোল করে আসামি রাব্বিকে ছেড়ে দিতে বলে। এ সময় নিরাপত্তার জন্য থানার মূল গেট আটকে দিলে গেট ভাঙার চেষ্টা করে ও রাব্বিকে ছেড়ে দিতে বলে। এ সময় সাটুরিয়া-পাকুটিয়া সড়কের থানার সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখলে যানজটের সৃষ্টি হয়। তিনি আরো বলেন, চারজন আসামিকে থানা থেকে প্রিজনভ্যানে আদালতের উদ্দেশে রওনা হলে রাব্বির পরিবারের সদস্যসহ আরো ৩০ থেকে ৪০ জন প্রিজনভ্যান থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের সাথে ধস্তা-ধস্তি শুরু হলে আমরা রাব্বির পরিবারের চারজনকে আটক করলে পরিবেশ শান্ত হয়। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার এসআই মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, আসামি ছিনিয়ে নেয়াসহ সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগকর্মী রাব্বির বাবা মো. আছর উদ্দিন (৫০), রাব্বির মা রোজিনা বেগম (৪৫), রাব্বির ভাই মো. রিফাত ইসলাম (১৭) এবং রাব্বির স্ত্রী আজরিন আক্তার (১৯) আটক করা হয়।
