মাকসুদ আলম (নোয়াখালী) সোনাইমুড়ী
নোয়াখালীর চাটখিল মোস্তান নগর হালিমাতুস সাদিয়া (রা.) মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন (৩৫) কে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। থানায় নেওয়ার পর সাখাওয়াত অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে প্রথমে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। তিনি সেখানে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে চাটখিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্ত সাখাওয়াত উল্যাহ এর পিতা-আমিনুর রসুল, মাতা-আনোয়ারা বেগম, গ্রাম-ফরাজি (বাঁধের গোড়ায় মার্কাজ হুজুরের বাড়ী), ০৩নং ওয়ার্ড, ০৫নং চর ইশ্বর ইউনিয়ন, থানা- হাতিয়া, নোয়াখালী। ঘটনাস্থল হালিমাতুস সাদিয়া মহিলা মাদ্রাসা, গ্রাম- মোস্তান নগর (জাকির সাহেব এর বিল্ডিং), ০৪ নং ওয়ার্ড, ০৬ নং পাঁচগাঁও ইউনিয়ন, থানা- চাটখিল, নোয়াখালী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হালিমাতুস সাদিয়া মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক হলে থাকায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার রাতে মাওলানা সাখাওয়াত ছাত্রীদের হলে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় ঐ ছাত্রীকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে করে। ছাত্রী চিৎকার দিলে সাখাওয়াত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে গত শুক্রবার বিকেলে উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসা এলাকায় ঢুকে সাখাওয়াতকে মারধর করে এবং মাদ্রাসার রুমে আটকে রাখে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ব্যাপারে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে। অভিযুক্ত সাখাওয়াত পুলিশ হেফাজতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেনাবাহিনীকে খবর দেয়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।