মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহতের পরিবার। এ সময় শাকিল মুন্সি হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। মামলার বাদী নিহতের বড়ভাই হাসান মুন্সিকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা এমনও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও নতুন মাদারীপুর গ্রামের মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে শাকিল মুন্সির সাথে এলাকার আধিপত্য নিয়ে শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার মফেজ হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদারের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত ২৩ মার্চ রাতে ‘নতুন মাদারীপুর’ এলাকায় একা পেয়ে শাকিলের উপর হামলায় চালায় লিটন ও তার লোকজন। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় শ্রমিকদল নেতা শাকিলকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
নিহত শাকিলের পরিবারের দাবি, লিটন হাওলাদারকে মাদারীপুর পৌরসভা শ্রমিক দলের সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদ করে সদর উপজেলার শ্রমিকদলের সভাপতি শাকিল মুন্সি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সদর উপজেলা শ্রমিক দল নেতা শাকিলকে। এই ঘটনায় শাকিলের বড়ভাই হাসান মুন্সি বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন সদর মডেল থানায় ৬৯ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার হয় ১০ আসামি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য কেএম তোফাজ্জেল হোসেন সান্টু, জেলা যুবদলের সাবেক নেতা কামাল সরদার, নিহত শাকিল মুন্সির মা আমিরুণ বেগম, স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, বড়ভাই হাসান মুন্সিসহ অনেকেই।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শাকিল মুন্সি হত্যাকান্ডে জড়িত এখন পর্যন্ত ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’