ePaper

মাদারগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুঁয়া তথ্যে চাকুরীতে নিয়োগ ও অবসর গ্রহণের অভিযোগ

জামালপুর প্রতিনিধি

মাদারগঞ্জ উপজেলার চরবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে জালিয়াতি ও দূর্ণীতির আশ্রয়ে চাকুরীতে যোগদান ও ভুঁয়া তথ্যের ভিত্তিতে অবসর গ্রহণের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে সরকারী অর্থ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে জানাগেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার চরবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয়করনের আগে গত ১/০১/১৯৯১ তারিখে বিদ্যালয়টির তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ওসমান গণির কাছে তিনি যোগদান করেছেন। প্রধান শিক্ষক মো. উসমান গনি ২০/১২/১৯৯০ইং তারিখে বিদ্যালয়টিতে যোগদান করেন। এর আগে ওই বিদ্যালয়টিতে সহকারী শিক্ষক হিসাবে জুলেখা পারভীন গত ০১/০২/১৯৮৮ ইং তারিখে এবং মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম ২৩/১০/১৯৯০ ইং তারিখ যোগদান করে কর্মরত ছিলেন। এরপর জাতীয় করণ হওয়ায় বিদ্যালয়টিতে কর্মরত চারজন শিক্ষকই গত ০১/১০/১৯৯৪ ইং তারিখে এমপিও ভুক্ত হন। তবে এমপিও ভুক্তির একবছর পর প্রধান শিক্ষক মো. উসমান গনি পদত্যাগ করলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শুন্য হয়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের শুন্যপদ পূরণের নিমিত্তে গত ২৫/১০/১৯৯৫ ইং তারিখে দৈনিক স্বদেশ সংবাদ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গত ০৫ /১১/১৯৯৫ইং তারিখে মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পত্র প্রদান করেন। ওই নিয়োগ পত্র মূলেই মো. রফিকুল ইসলাম গত ১১/১১/৯৫ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। অথচ বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংক্রান্ত তথ্য ছক-খ এ প্রধান শিক্ষক মো রফিকুল ইসলাম এর যোগদানের তারিখ লেখা হয়েছে ১১/০১/৮৯ইং তারিখ, জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ০৪/০৪/১৯৬১ইং, এমপিও ভুক্তির তারিখ লেখা হয়েছে ০১/০১/৯৬ইং এবং ইনডেক্স নম্বর লেখা হয়েছে ৩০১৪৯২। অভিযোগ অনুসন্ধানে আরো জানাগেছে, চরবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো. উসমান গনি ও সহকারী শিক্ষক আছিয়া খাতুনসহ চারজন শিক্ষক কর্মরত থাকাবস্থায় ০১/১০/১৯৯৪ ইং তারিখে তারা চারজনই এমপিও ভুক্ত হন। ওই এমপিও ভুক্তির এক বছর পর প্রধান শিক্ষক মো. উসমান গনি পদত্যাগের করায় শুন্য পদে মো. রফিকুল ইসলাম ১১/১১/৯৫ ইং তারিখে যোগদান করেও বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংক্রান্ত তথ্য ছক-খ এ প্রধান শিক্ষক মো রফিকুল ইসলাম এর যোগদানের তারিখ লেখা হয়েছে ১১/০১/৮৯ইং তারিখ। এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আছিয়া খাতুনের এমপিও ভুক্তির একবছর পর যোগদান করলেও শিক্ষকদের তথ্য ছক-খ এ দেওয়া আছিয়া খাতুনের ইনডেক্স নম্বর ৩০১৪৯৩ এর পূর্ববর্তী ইনডেক্স নম্বরটি ৩০১৪৯২ মো. রফিকুল ইসলামের নামের পাশে দেখানো হয়েছে যাহা জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামের এসএসসি সনদ ও চাকুরীর সার্ভিস বুকে তার জন্ম তারিখ ০৪/০৪/১৯৬১ইং লেখা থাকলেও তিনি বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় জন্ম তারিখ কমিয়ে ০৪/০৪/১৯৫৯ইং তথ্য ছকে চাকুরীতে যোগদানের তারিখ ১১/১১/৯৫ইং এর পরিবর্তে ১১/১১/১৯৮৯ইং লেখা হয়েছে যাহা চাকুরী বিধি অনুযায়ী জালিয়াতি ও দূর্ণীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ বলে অভিযোগে দাবী করা হয়েছে। মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরল ইসলাম জানান, মাদারগঞ্জের চরবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *