ePaper

মাগুরা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা অনামিকা দাসের মৃত্যু

শেখ ইলিয়াস মিথুন, মাগুরা:

মাগুরা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা অনামিকা দাস (৩৩) মারা গেছেন। বুধবার দুপুর ১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাঁকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অসুস্থ্য অবস্থায় তাঁকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রিবার ও জেলা ক্রীড়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, পদাধিকার বলে অনামিকা দাস মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটি বৈঠক ছিল। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক চলাকালীন অজ্ঞান হয়ে পড়েন অনামিকা দাস। তখন তাঁকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভর্তির পর তাঁকে বেশকিছু পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতেই ওই কর্মকর্তা বাসায় ফিরে যান। সকালেও তিনি একদফা হাসপাতালে গিয়েছিলেন কিছু পরীক্ষা করাতে। এরপর আবার বাসায় ফিরে আসেন অনামিকা দাস।মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মহসিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে মৃত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। গতকাল রাতে অজ্ঞান অবস্থায় প্রথম তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। তখন তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। উপসর্গ দেখে চিকিৎসকদের ধারণা তিনি ব্রেইন স্টোকের কারণে মারা গেছেন’।জেলা ক্রীড়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে অনামিকা দাস কার্যালয়ে আসেন। ইনডোর স্টেডিয়ামে ক্রীড়া অফিস আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল তাঁর। তবে অসুস্থ্যতা জনিত কারণে তিনি ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন নি। কার্যালয় থেকে হাসপাতাল হয়ে শহরের নতুন বাজার ভাড়া বাসায় ফিরে যান ওই কর্মকর্তা।অনামিকা দাস রাজবাড়ি জেলার বানিবহ গ্রামের নির্মল কুমার দাসের মেয়ে। ২০১৯ সালে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা হিসেবে মাগুরায় কর্ম জীবন শুরু করেন। চাকরি শুরুর পর থেকে একটানা তিনি মাগুরাতেই কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী কৌশিক কুমার দাস খুলনায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এই দম্পতির ২ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *