পঞ্চগড় প্রতিনিধি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, এবারের গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা ছিল গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীনতা প্রতিষ্ঠা। অথচ আজ সেই গণতন্ত্র দিল্লি দূরত্বে পরিণত হয়েছে। মবের সন্ত্রাস জনজীবনকে দুঃসহ করে তুলেছে। প্রতিদিন মানুষ উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবনযাপন করছে। অথচ বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের বিষয়ে কেউ আলোচনা করে না, কারণ তারা গরিব-শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে না। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরে জেলা কমিটির দ্বাদশ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের বড় চাওয়া নেই, শুধু জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে আর টালবাহানা চলবে না। কিন্তু গতকাল আমরা দেখলাম সরকার এখনো জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি যে তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে। তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, আগে এমপি নির্বাচনে জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা, এখন তা ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রার্থীর খরচের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনকে বড়লোকদের টাকার খেলায় পরিণত করার চক্রান্ত চলছে। এটি মেনে নেওয়া যায় না। সিপিবি সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৫৪ বছরে বাংলাদেশ দেখেছেÑআওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা একাত্তরের ঘাতক জামায়াত কেউই মানুষের মুক্তি দিতে পারেনি। বরং তারা নীতিহীন রাজনীতি করেছে। অথচ বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি মোহাম্মদ ফরহাদ ও মণি সিংহের আদর্শে জনগণের স্বার্থে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কমিউনিস্ট পার্টি ও বামপন্থি শক্তির পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হই। মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ধারায় একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে আসি। অনুষ্ঠানে জেলা কমিটির সভাপতি ফিরোজা খন্দকার চামেলী, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
