ePaper

মনগড়া তদন্ত করে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলেন পটুয়াখালী পুলিশ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীতে সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা করেন এক সময়ের মাদক ও অস্ত্র মামলার অভিযুক্তএম আলীম আকন নামের জাতীয় পার্টির এক সাবেক নেতা। খোঁজ নিয়ে জান যায় গত বছর ২৬ সেপ্টম্বর ২০২৪ তারিখ ফেসবুক পেইজ এ একটি ভিডিও প্রচার করেন দৈনিক নবচেতনা, ডেইলী প্রেজেন্ট টাইমস ও নিউজ ২১ বাংলা টেলিভিশনের পটুয়াখালীর সাংবাদিক কাজী মামুন। কাজী মামুন বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন। অভিযোগে এম আলিম আকন জানান, স্থানীয় বালুর মাঠে ২০/৯/২০২৪ সকাল ৯ টায় প্রকাশ্য দিবালকে ৯ জন শাক্ষির সামনে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাংবাদিক কাজী মামুন ও অভিযোগ কারীর তিন আত্মীয় ও প্রতিবেশি। যা কোন প্রকার সরজমিনে না গিয়ে আলাপ আলোচনা ছাড়াই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পটুযাখালী সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র মো. শিহাব বাহাদুর যার বিপি -৮৬১৪১৬৬১৪৭। মামলা অভিযুক্ত অপর তিন আসামিরা বলেন আলিম আকনের অভিযোগের আলোকে পরিপূর্ণ তদন্ত না করেই কোনো প্রকার সিসি টিভি ফুটেজ ও কল রেকর্ড সংরক্ষণ ও নিউজের সত্যতা যাচাই না করেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন যা পক্ষপাতিত্ব বলে মনে করছেন। তাছাড়া এ ঘটনার সাথে আমাদের কোনো যোগযোগ নেই্ তবে আলীম আকনের সাথে আমাদের দীর্ঘদিনে জমি জমা ও রাজনৈতিক বিরোধ থাকায় সম্প্রন্ন তথ্য বিবার্ট মিথ্যা অভিযোগ করেছন। এ বিষয় সাংবাদিক কাজী মামুন জানান, আমি থানা পুলিশ ও পত্র পত্রিকার তথ্য চিত্র’র মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করি যা অভিযোগ কারী মিথ্যা বলে দাবি করেন এবং আমার বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ করেন। থানা পুলিশ প্রথমে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে বিষয়টি চেপে যায়, পরবর্তীতে এম আলমি আকন আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভিডিওটি ডিলেট করতে চাঁপ ও হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি তার কোন প্রকার চাপ ও হুমকি ধামকিতে নত না হলে সে আবার আমার বিরুদ্ধে কোর্টে অভিযোগ করেন। কোর্ট বিষটি থানায় পেরণ করলে সে সময় সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র মো. শিহাব বাহাদুর আমাকে বাদির সাথে মিলে মিশে যেতে বলেন এবং কিছু সালামি দেবার কথা বললে আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করি যে আমি কোনো সালামি দিব্না আমার বিরুদ্ধে কোন তথ্য চিত্র বা ঘটনা স্থানের প্রবেশ ও বাহিরের মুখে থাকা সকল সিসি টিভি ফুটেজের কোন অংশে আমার কোনো উপস্থিতি বা প্রমাণ পান তাহলে আপনি তা কোর্টে পেশ করেন। সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র মো. শিহাব বাহাদুর কোনো প্রকার সে সময় প্রমাণ না পেলে বিষয়টি থেমে যায়। কিন্তু হঠাৎ করেই আমি আজ জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে সে কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন এটা আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছাড়া কিছুই নয়। উল্লেখ্য, মামলার চার্জশিটে বিজ্ঞ আদালত বিগত ২১/১০/২০২৪ তারিখ অভিযোগটি স্মারক নং ২০৫৪ জমা হলে তা আগামী ১৩/০২/২০২৫ জমা দিতে বললেও সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র মো. শিহাব বাহাদুর কোনো প্রকার অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ার পরও সম্প্রন্ন মিথ্যা একটি প্রতিবেদন তৈরী করে দীর্ঘ সময় পর ২৩/০৮/২০২৫ তারিখ কোনো প্রকার শক্ত প্রক্ত আলামত বা প্রমাণ না দেখেই আলীম আকনে নিজ আত্মীয় স্বজনদের শাক্ষী বহাল রেখে প্রতিবেদন করেন। এ ব্যাপারে প্রতিবেদন পেরণ কারী পুলিশ কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র মো. শিহাব বাহাদুরের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন প্রকার কথা বলতে রাজী হন নি, পরবর্তীতে একাধিক বার ফোন করলে প্রতিবেদকের ফোন কেঁটে দেন সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র মো. শিহাব বাহাদুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *