মধুখালী উপজেলার কামারখালীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

Exif_JPEG_420

মধুখালী প্রতিনধিঃ পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন হাটগুলোতে গরু ও ছাগল আসা শুরু হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমে উঠছে কোরবানি পশুর হাটগুলো। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম একটু কম। ক্রেতাদের মাঝারি সাইজের দেশি গরুর চাহিদা বেশি। গত বৃহস্পতিবারে বৈরি আবহাওয়ার কারণে উপজেলার কামারখালী গরুর হাটে প্রচুর গরু ও ছাগল আমদানী সোমবার বিকালে হাটে গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র। বাজারে অন্যবারের তুলনায় এবার গরু-ছাগল বেঁচা-কেনা কম, সেই সাথে দামও কম বলে দাবি করেন বিক্রেতারা। তবে বিক্রেতা ও ক্রেতারা উভয়েই বলেছেন, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত শুক্রবার হাটগুলোতে কেনা-বেচা বেশি হবে। তাদের প্রত্যাশা ওই হাটে বেচাকেনা আরও ভালো হবে। ক্রেতারা গরুর হাটে এসে ঘোরাফেরা করছেন, দাম জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সাধারণ ক্রেতাদের গরু কিনতে কম দেখা গেছে। লুৎফর রহমান নামে এক ব্যাক্তি বলেন, কোরবানীর ঈদ হিসেবে গরুর হাটে এসেছি দেশি গরু কিনতে। পর্তা মতো হলে কিনবো, তানা হলে পরে কিনবো। গরু বিক্রেতা ইলিয়াস বলেন, ঈদের প্রথম গরুর হাট হিসেবে গরুর দাম কম। আমার গরুর কয়েকটা দাম হয়েছে। তাতে বিক্রি করা যায় না। দাম একটু বেশি পেলে বিক্রি করে দিবো। আঃ মালেক  নামে এক গরু ক্রেতা বলেন, এ বছর গরুর দাম কম মনে হচ্ছে। তবে হাটে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। আজ প্রথম হাট তো, তাই বেচা-কেনা কম। ঈদের দুইদিন আগে মূলত গরু কেনাবেচা বেশি হবে। কামারখালী হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম আবু সাম বলেন, কামারখালী গরুর হাটটি একটি নিরাপদ হাট বলে বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েরই আকর্ষণ এ হাটে। তিনি বলেন, ঈদের প্রথম হাট হিসেবে হাটে গরুর আমদানী মোটামুটি হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কেনা-বেঁচা কম। ঈদে আগের দিন একটি হাট পাবো। আশা করি আগামী হাটে গরু-ছাগলের আমদানী ও বিক্রি বাড়বে। এছাড়াও উপজেলার সদর গরুর হাট, ব্রাক্ষনাকান্দা পরমানন্দপুর, গোপালদি, বাগাট বাজার, কামারখালী হাট সহ বিভিন্ন বাজারে গরু-ছাগলের হাট রয়েছে। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম.নুরুজ্জামান বলেন, গরু বিক্রেতারা যাতে নির্বিঘ্নে হাটে আসতে পারেন, ক্রেতারা যাতে কোন সমস্যা ছাড়া গরুর হাট থেকে কিনে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে পর‌্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে, এম. তানজির নাঈম বলেন, সরকারী তালিকাভূক্ত উপজেলার সকল পশু হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে। এই উপজেলায় দেশি গরু বেশি তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সুস্থ ও সবল পশু হাটগুলোতে বেচা-কেনা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *