মধুখালী প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ভেল্লাকান্দি ও রাজধরপুর ,আড়পাড়া ইউনিয়নের রাজধরপুর, রামচন্দ্রপুর এবং গড়াই নদীর কুল হয়ে পশ্চিম আড়পাড়া কাচা রাস্তা এবং কামারখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাজধরপুর গ্রাম হয়ে কামারখালী বাজার রাস্তা সহ তিন ইউনিয়নের ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ যেন শেষই হচ্ছে না। যুগের পর যুগ ধরে এই অঞ্চলের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা। একটুখানি বৃষ্টি বা বর্ষা নামলেই যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে। রাস্তা পরিণত হয় কাদাপানির এক হাহাকারে। এমন অবস্থা সৃষ্টি হয় যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় গ্রামের হাজারো মানুষকে। এই রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী, কৃষক ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তাগুলো যেন তাদের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে ছোট যানবাহন যেমন অটো, রিকশা, ভ্যান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি হেঁটে চলাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। কাদায় পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও প্রায়শই ঘটে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে পড়ে গড়িয়াদহ খালে রামচন্দ্রপুর গ্রাম সীমানায় ব্রীজ না থাকার কারনে । এই রাস্তাগুলোর মধ্যে ডুমাইন ইউনিয়নের ভেল্লাকান্দি ইটের রাস্তা, রাজধরপুর গ্রামের কাচা রাস্তা থেকে আড়পাড়া ইউনিয়নের রাজধরপুর ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের কাচা রাস্তার বেহাল দশা মাঝে গড়িয়াদহ খালে রামচন্দ্রপুর গ্রামের সীমানায় ব্রীজ অতি জরুরী । অন্যদিকে, আড়পাড়া ইউনিয়নের ও কামারখালী ইউনিয়নের গড়াই নদীর কুলের কাচা রাস্তা থেকে কামারখ্লাী বাজার রাস্তা পর্যন্ত রাস্তার অবস্থাও অত্যান্ত শোচনীয়। দুই পাশে নিচু থাকার কারনে বর্ষার সময় রাস্তাগুলোর অংশবিশেষ ধসে পড়ে এবং পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কোন যানবাহন চলতে পারে না এমনকি মানুষের হেটে যাওয়ার চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যা রাস্তাটি পাকা করন অতি জরুরী । যাতে মানুষ ভালো ভাবে পথ দিয়ে চলতে পারে। বছরে এক বা দুইবার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সামান্য বরাদ্দে রাস্তার পাশে গর্ত করে কিছু কাদা বা মাটি ফেলা হয়। কিন্তু সে কাজও এমন হয় যে এক বৃষ্টিতেই তা নষ্ট হয়ে পড়ে। কাজের দীর্ঘস্থায়ী কোনো পরিকল্পনা নেই, নেই টেকসই কোনো পদক্ষেপ। স্থানীয়দের মতে, দ্রুত যদি এই রাস্তাগুলো পাকা না করা হয়, তাহলে একদিকে যেমন মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে, অন্যদিকে একসময় হয়তো পুরো গ্রামই জনমানবশূন্য হয়ে পড়বে। কারণ মানুষ উন্নয়ন চায়, নিরাপদ চলাচল চায়, সন্তানদের ভালো ভবিষ্যৎ চায়-আর রামচন্দপুর গ্রাম সীমানায় গড়িয়াদহ খালে একটি ছোট ব্রীজ হলে সানুষের যাতায়াতের আর কোন সমস্যা থাকবে না । তাই এলাকাবাসীর জোর দাবি, অবিলম্বে ডুমাইন ইউর্নিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভেল্লাকান্দি ও রাজধরপুর গ্রামের , আড়পাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রাজধরপুর ও রামচন্দ্রপুর এবং নদীর কুল গ্রাম সহ পশ্চিম আড়পাড়া এবং কামারখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাজধরপুর হয়ে কামারখালী বাজার সড়ক হয়ে কামারখালী বাজার রাস্তা সহ পুরো রাস্তাটি পাকা করে একটি টেকসই সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। এই রাস্তাই হতে পারে গ্রামের প্রাণ, উন্নয়নের গেটওয়ে এবং মানুষের স্বস্তির একমাত্র অবলম্বন।
