আল আমিন,কুষ্টিয়া
ভেড়ামারার দক্ষিণ রোলগেট এলাকায় প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ১১টায় কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও কোয়াটারমাস্টার মো. জাকিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, দক্ষিণ রোলগেট এলাকার শাহিনের মুদি দোকানের পাশে একটি ঘরে কিছু ব্যক্তি টাকা দিয়ে জুয়া খেলছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ভেড়ামারার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার হোসাইনকে অবহিত করা হলে, তিনি বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে জুয়ার সরঞ্জামসহ ১৮ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার হোসাইন ঘটনাস্থলেই আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আটক ব্যক্তিরা জুয়া খেলার কথা স্বীকার করলে, ‘প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৮৬৭’ এর ৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন: মো. মিজানুর রহমান শাহিন (৫২), পিতা-মো. সিরাজুল ইসলাম, পৌর চাঁদগ্রাম, মো. রাজন (৩১), পিতা-মো. আমজাদ হোসেন, জয়ভোগা, দৌলতপুর মো. আসাদুজ্জামান (৪৫), পিতা-মৃত ছৈয়দ আলী, কল্যাণপুর, দৌলতপুর, মো. বিপুল (৩৮), পিতা-মীর এনামুল হক, চন্ডিপুর, ভেড়ামারা, মো. কিরন (৩১), পিতা-মৃত তৈজদ্দিন হক, জয়ভোগা, দৌলতপুর ৬. মো. নাহেদ হাসান, পিতা-মো. সাবান আলী, নওদাপাড়া মো. ছোটন (২১), পিতা-রেফেজ উদ্দিন, কল্যাণপুর, দৌলতপুর মো. টিপু সুলতান (২৮), পিতা-আবু বক্কর, আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, মো. জুয়েল রানা (৩৩), পিতা-মৃত সৌকত, ডিংগাদহ বাজার, চুয়াডাঙ্গা মো. আলীহিম (৩৮), পিতা-খায়বার মন্ডল, চুয়াডাঙ্গা মো. রাজন (৩৬), পিতা-আমজাদ হোসেন, জয়ভোগা, দৌলতপুর, মো. আশরাফুল ইসলাম (৩৫), পিতা-মো. শহিদুল ইসলাম, কল্যাণপুর, দৌলতপুর, মো. রাজা (৫২), পিতা-মৃত রাফেজ উদ্দিন, সাতবাড়ীয়া, ভেড়ামারা মো. বাস্তু (৫০), পিতা-মৃত ছলিমুদ্দিন, খাদেমপুর, মিরপুর, মো. আসান বিশ্বাস (৫০), পিতা-মৃত আজিজুল হক, নওদা খাদিমপুর, মিরপুর, মো. বাবু হোসেন (৩৮), পিতা-মো. মোজাহার, কাচারীপাড়া মো. জিল্লুর রহমান (৪২), পিতা-ছোবহান আলী, নলখোলা, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ, মো. রনি (৩৫), পিতা-ইকরাম শেখ, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ অভিযান চলাকালে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, “অপরাধীরা প্রকাশ্যেই জুয়া খেলছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করে। আইন অনুযায়ী তাদের তাৎক্ষণিকভাবে সাজা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”
