ePaper

ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি: প্রকাশের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি প্রকাশের দাবিতে গণ অধিকার পরিষদের সমাবেশের দৃশ্য।
ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশের দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণ অধিকার পরিষদের সমাবেশ।

ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের আয়োজিত সমাবেশে এই দাবি তোলা হয়। বক্তারা সীমান্ত হত্যার বিষয়েও কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন এবং সরকারের প্রতি ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্য মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে বিতর্ক

সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (নুর) অভিযোগ করেন, ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো অস্বচ্ছ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্য ভারতীয় আধিপত্য দায়ী। নুর দাবি করেন, ভারত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে, যা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছে বলে প্রমাণ করতে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনাগুলোকে রাজনৈতিক বলে উল্লেখ করেন নুর।

চুক্তি প্রকাশের দাবি এবং সরকারের অবস্থান

বক্তারা ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানান। তারা বলেন, “যে কোনো দেশের সঙ্গে হওয়া আন্তর্জাতিক চুক্তি জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।” বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা অভিযোগ করেন যে সরকার শুধু নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর কথা শুনছে এবং বাকিদের উপেক্ষা করছে।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে কঠোর অবস্থান

সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের নেতারা বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী যদি বাংলাদেশের একজনকে গুলি করে হত্যা করে, তবে তাদের দুজনকে গুলি করার পদক্ষেপ নিতে হবে। এই বক্তব্যে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের কৌশল পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়।

সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান

গণ অধিকার পরিষদের নেতারা জোর দেন যে, আগে রাজনৈতিক সংস্কার করতে হবে, তারপর নির্বাচন। তারা দাবি করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং এই সরকারের গঠনে জনগণের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে।

সমাবেশে নেতাদের বক্তব্য

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, এবং আরও অনেকে। বক্তারা শহীদ পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার দাবি জানান।

আরও খবর পড়ুন।

Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *