শেখ নাদিম, ব্রাক্ষণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোকর্ণঘাট এলাকার আক্তার মিয়ার বিরুদ্ধে। স্কুলটি ২০১০ সালে সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৩ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। জিপিএ ৫ পাওয়ার ও রেকর্ড রয়েছে স্কুলটিতে। স্কুলের সুনাম করে একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দেন। স্কুলটির সভাপতি কাউন্সিলর ফেরদৌস মিয়া বলেন প্রায় ৫০ বছর হয়ে গেছে স্কুলটির, কেউ আসেনি জায়গার মালিকানা দাবি করতে। বিশিষ্ট শালিকারক গোকর্ণ ঘাট এলাকার ডাক্তার ইয়াকুব মিয়া বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে স্কুলটির বৃত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক এমপি হারুন আল রশিদ সাহেব ও ছিলেন। গোকর্ণ ঘাট এলাকার হাসান মিয়া জানান এতদিন শুনি নাই স্কুলের জায়গার সাথে আক্তারের সম্পর্ক আছে। কিন্তু হঠাৎ করে আক্তার দাবি করছে স্কুলে নাকি আক্তারের জায়গা আছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভৌমিক বলেন এলাকার কতিপয় অশিক্ষিত, সন্ত্রাসী ও মাদক সেবী ভূমিদস্য লোকজনের কুপরোচনায় বিদ্যালয়ের উত্তর অংশের কিছু ভূমি দখল করার চেষ্টা করে। ১ নং আসামি আক্তার মিয়া হাতে করাত নিয়ে চার ফুট বেড়ের গামাই গাছ যার মূল্য অনুমান ৪০ হাজার টাকা গাছটি কাটিয়া মাটিতে ফেলে দেয়। পাঁচ ফুট বেড়ের একটি কদম গাছ যার অনুমান মূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা এই গাছটিও কাটিয়ে ফেলে। এইভাবে তিনটি গাছ কাটিয়ে ফেলে যার অনুমান মূল্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা প্রায়। আসামিগণ বাউন্ডারি ভাঙ্গিয়া বিদ্যালয়ের প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। দেশে কারফিউ বলবত থাকার কারণে স্কুলটি বন্ধ ছিল। বিদ্যালয়ের পিয়ন পান্নালাল সূত্রধর আসামিদের এই কর্মকান্ডগুলো প্রকাশ করিতে থাকিলে আসামিগণ পান্নালাল সূত্রধর কে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকজনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাই একটি এজহার দায়ের করেন।
