ePaper

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি

মো.তাসলিম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়) সরাইল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকদের তিন দাবীতে কর্মবিরতি চলছে। সড়কে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, গাড়ি ছাড়াতে অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতিও ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে তা বন্ধসহ নানা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকরা। গতকাল রোববার সকাল থেকে জেলাজুড়ে এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। এর আগে শনিবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। শনিবার শহরের মেড্ডা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের’ জরুরি সভা থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। শিমন বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় ওনাদের দাবি যৌক্তিক। কিন্তু সেই সাথে ওনারা যে বিভিন্ন সময় নানা রকম হাস্যকর অজুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে থাকেন সিন্ডিকেট করে; এইটাও বন্ধ করতে হবে। সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, গাড়ি ছাড়াতে অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে আমাদের প্রায় ১০০টিরও বেশি সিএনজি ও অটোরিকশা জব্দ করে রাখা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব দুর্নীতি দূরীকরণে কোনও সুস্পষ্ট পদক্ষেপ না নিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলায় সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কাগজ পত্র নেই বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চলছে তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। কাগজপত্র আনলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র আছে তারা নির্বিঘ্নে চলতে পারছে। তারা চাচ্ছে তাদের কোনো গাড়ি যেন আমরা না ধরি। ট্রাফিক পুলিশ যেন কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে। আর তাদের কোনো প্রতিনিধিও এ বিষয়ে আমাদের কাছে আসেননি। এসবি ইমন। বলেন, এক ব্যক্তি ভৈরব থেকে এসেছে গাড়ি না পেয়ে আমাকে সিগনাল দিল লিফট দেওয়ার জন্য আমিও মানুষের এরকম রাস্তার শিকার হতে দেখে উনাকে লিফট দিলাম কিন্তু অবরোধকারীরা তাকে আমার বিইকে ওঠতে বাধা দেই কিন্তু আমি উনার অবস্থা দেখে এক ধরনের জোরজবস্তি করেই তাকে লেফট দেই, পরে শুনলাম উনি নাকি ভৈরব থেকে এসেছে এবং কালিকচ্ছ বাজারে যাবে, উনি বলতেছে আগে যদি জানতাম আপনাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আসলে এরকম হেনস্ত্র শিকার হতে হবে তাহলে আর আসতাম না। এখন আমার একটাই কথা বিশ্বরোড দিয়ে পুরো বাংলাদেশের যাত্রী যাতায়াত করে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাম এমনিতেই খারাপ তারপর আবার ওরা যদি এরকম করে তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুনাম আরো বেড়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *