লিয়াকত আলী, লালমনিরহাট
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আতোয়ারুল (৫৫) ও তার ছেলে মুসলিম মিল্লাত মারুফ (২২) এর খোঁজ নেয়নি কেউ। ৪ আগস্ট দুপুরে আতোয়ারুল ইসলাম লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দলতে গিয়ে বাবা পায়ে ও ছেলে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসক শাহজালাল উদ্দিন মানিক তত্ত্বাবধানে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেন। এ ঘটনার পর থেকে কোন কাজ কাজ কর্ম করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবারটি। আহত আতোয়ারুল ইসলাম জানান, ৪ আগষ্ট লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে যায় আমার ছেলে মুসলিম মিল্লাত মারুফ। আমি তার খোঁজ নিতে গেলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমি ও আমার ছেলের উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডা. শাহজালাল মানিকের চেম্বারে নেয় চিকিৎসার জন্য। আহত হওয়ার কারণে আমি দীর্ঘদিন থেকে কোন কাজ করতে পারছি না। এজ্য আমার পরিবার অর্থ সংকটে মানবতার জীবনযাপন করছে। তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আন্দোলন করে আমরা আহত হলাম, আজ নতুন বাংলাদেশের সুফল সবাই ভোগ করছে। ‘নেতারা এখন রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। এখন কেউ আমাদের আর খবর রাখে না। খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে, কেউ খবর নিতে এলো না। গত তিন মাসে সরকারের লোকজনও খোঁজখবর নিতে এলো না। চিকিৎসা বাবদ কেউ কোন সহায়তা করতেও এগিয়ে আসেন নি। আহত আতোয়ার কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, ‘আমারা অনেক গরীব মানুষ, অনেক কষ্ট করে আমাদের পাঁচ সদস্যের পরিবার চলে। বর্তমানে আমরা অর্থ কষ্টে আছি। এসময় তিনি সকলের সহায়তা প্রত্যাশা করেন। এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ারা তুম্পা বলেন, আহত আতোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলের বিষয়টি জেনেছি তারা আমার কাছে কাছে এসেছিলেন। সরকারিভাবে আহতদের যে তালিকা করা হয়েছে তাতে তারা যুক্ত হয়নি। তালিকার বিষয়টি তারা জানতো না। পরে তারা তালিকায় যুক্তর জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন। তারা যেন সুযোগ-সুবিধা পায় সে বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।