ePaper

বুলবুলকে হুমকির অভিযোগ, মুখ খুললেন তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক

সম্প্রতি কোয়াব নির্বাচনে ভোট দিতে হাজির হয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তামিম ইকবাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচনের ডামাডোল বাজতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে অন্যতম বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের লড়াই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মাঝে অজ্ঞাত ফোনে হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বুলবুল।

গত বৃহস্পতিবার আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার আহবান জানিয়ে হুমকি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। সেদিনই তার নিরাপত্তা ও বন্দুকধারী চেয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। যদিও সেখানে হুমকি পাওয়ার বিষয় উল্লেখ ছিল না। পরে বেসরকারি এক চ্যানেলে সেটি জানান বুলবুল। এরপর তামিম কোনোভাবে ওই ঘটনায় জড়িত কি না সেই আলোচনা উঠেছে।

যা নিয়ে সম্প্রতি আরেকটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে হাজির হয়ে মুখ খুলেছেন তামিম। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি এটা খুব বেশি ফলো করিনি। যদি আসলেই এটা হয়ে থাকে তাহলে খুবই দুঃখজনক। যদি কেউ মনে করে থাকে। আমি ক্রিকেটার, সন্ত্রাসী কেউ না। আমি সন্ত্রাসী না। আমার মনে হয় যে, বুলবুল ভাই যখনই কোনো মন্তব্য করেন, সেটা পরিষ্কারভাবে বলা উচিত। উনার মন্তব্যে মাঝেমধ্যে কিছু প্রশ্ন রেখে দেন।’লুকোচুরি না করে ওই নম্বর প্রকাশ ও বুলবুলকে আইনি আশ্রয়ের পরামর্শ দিয়েছেন তামিম, ‘যদি এরকম কোনো কল এসে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই নম্বরটাও আছে। আমাদের দেশে যথেষ্ট ইন্টিলিজেন্স আছে যে কে এই কলটা দিলো খুঁজে বের করা। লুকোচুরি না করে উনি যদি নিজের সেফটির কথা চিন্তা করেন, তাহলে উনি যে চিঠি দিয়েছেন সেখানে নম্বরসহ উল্লেখ করে দেওয়া উচিত। যদি এরকম কিছু না হয় এটাও পরিষ্কার করে দেয়া উচিত যে এরকম কিছু হয়নি।’

‘মাঝামাঝি রাখলে এসবে দ্বিধা তৈরি হয়। এরকম কিছু হয়েছে কি না আমি তো বলতে পারব না। আপনাদের মতো আমিও দেখেছি। আমার মনে হয় প্লেয়ার্স টার্ম খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা যদি আসলেই হয়ে থাকে জিডি করার অপশন আছে। নম্বর ট্রেস করা যায়। এমনটা না হলে উনার ব্যাখা দেওয়া উচিত’, আরও যোগ করেন সাবেক এই দেশসেরা ওপেনার। এর আগে অবশ্য বুলবুল অজ্ঞাত ফোনকলকে ‘হুমকি’ বলে উল্লেখ করেননি। নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলা হয় জানিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক ও দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বলেন, ‘ফোন দিয়ে বলা হয় “ইলেকশন না করলে হয় না?” না করলে ভালো হয় আরকি। নিরাপত্তার বিষয়টি বড় ব্যাপার। ভয় লাগছে। ২-৩ দিন আগে এই ফোন এসেছিল।’ প্রসঙ্গত, আগামী ৪ অক্টোবর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই ঘোষণা দেওয়ার পরই একের পর এক চমক আসছে। পরিচালক পদে নির্বাচনের কথা জানিয়ে সভাপতি পদে আসতে চান বলেও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম। পরবর্তীতে সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদসহ আরও কয়েকজনের পরিচালক পদে নির্বাচনের কথা জানা গেছে। এর মাঝেই আসে বুলবুলের ঘোষণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *