ePaper

বিশ্বের ‘সবচেয়ে দয়ালু’ বিচারকের মৃত্যু, স্মরণীয় থাকবেন যে কারণে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সহানুভূতিশীল আচরণ ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য ‘বিশ্বের সবচেয়ে দয়ালু বিচারক’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন বিচারক ফ্র্যাংক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।২০২৩ সালে ক্যাপ্রিও’র অগ্নাশয়ে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। এই রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই গতকাল বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ফ্র্যাংক ক্যাপ্রিওর পরিবারের সদস্যরা।ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলা হয়েছে, “নিজের সহানুভূতি, নম্রতা, মানুষের ভেতরে ভালো স্বত্ত্বা রয়েছে— এমন বিশ্বাসের প্রতি অটল থাকার জন্য সবার কাছে শ্রদ্ধাভাজন হয়ে ওঠা বিচারক ক্যাপ্রিও আজ পৃথিবী, বন্ধু-আত্মীয়-স্বজন এবং তার প্রিয় আদালতকক্ষ থেকে অনন্তলোকে যাত্রা করেছেন। আন্তরিকতা, দয়ালু এবং সহজ-সাবলীল ব্যবহারের জন্য সবার কাছে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”ফ্র্যাংক ক্যাপ্রিও যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের পৌর আদালতের বিচারক ছিলেন। আদালতকক্ষে নম্র, আন্তরিক, দয়ালু ও সহানুভূতিশীল আচরণ তাকে অন্যান্য বিচারকের থেকে পৃথক করে তুলেছিল। কোর্টরুমে তার বিচারকার্যের অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বিশ্বজুড়ে মানুষজন তার সম্পর্কে জানতে পারে এবং তার ভক্ত হয়ে ওঠে।তিনি প্রায়েই শিশুদেরকে তার বেঞ্চে বসতে দিতেন, দরিদ্র আসামিরা কীভাবে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করবেন— সে ব্যাপারে আসামিপক্ষকে পরামর্শ দিতেন, এমনকি অনেক সময় তাদের ক্ষমাও করে দিতেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিতি পাওয়ার পর ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ‘কট ইন প্রোভিডেন্স’ নামের একটি রিয়েলিটি শো শুরু করেন ফ্র্যাংক ক্যাপ্রিও। ওই শো-ই তাকে বিশ্বজুড়ে তারকাখ্যাতি এনে দিয়েছিল। এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তার ওই অনুষ্ঠান যে সেটি রীতিমতো বিশ্বের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠান পুরস্কার ডে-টাইম অ্যামি এওয়ার্ডের জন্যও মনোনয়ন পেয়েছিল।

তার পরিবারের স্বজনরা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছেন, “তিনি শুধু একজন শ্রদ্ধেয় বিচারকই ছিলেন না, ছিলেন একাধারে একজন দায়িত্বশীল এবং নিবেদিতপ্রাণ স্বামী, পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ এবং বন্ধু। তার সদয় ব্যবহারের স্মৃতি সবসময়েই আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।”“ঈশ্বরের কাছে আমাদের প্রার্থনা, আমরাও যেন তার মতো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পৃথিবীর প্রতি আরও একটু সহানুভূতিশীল হতে পারি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *