বাগেরহাটে চাচার অত্যাচারে বাড়িছাড়া পুলিশ পরিবার

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে চাচার নির্যাতন, মারধরের প্রতিবাদ ও সঠিক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের হলরুমে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যর স্ত্রী খাদিজা আক্তার রুমা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। খাদিজা আক্তার রুমা পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার নধমুল্লা গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। মো. আলমগীর হোসেন বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ ডিপার্ডমেন্ট এ চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি হিসেবে বাগেরহাট নতুন পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন। সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা আক্তার রুমা জানান, আমার স্বামীর পৈত্রিক বাড়িতে তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে আমিসহ আমার পরিবার বসবাস করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার স্বামীর দূর সম্পর্কের চাচা পার্শ্ববর্তী সৌদি প্রবাসী ভুমিদস্যু লোকমান গাজী বিগত ৭/৮ বিভিন্ন ভাবে আমাদের সম্পত্তি আত্মসাত করতে নানান ভাবে হয়রানি করছে। আমি বাধ্য হয়ে নিজেদের সম্পত্তি রক্ষার জন্য আদালতের স্বরনাপন্য হই, আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করে। কিন্তু ভূমিদস্যু লোকমান গাজী আদালদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধামকী, গালি গালাজ, মিথ্যা অভিযোগ, মিথ্যা মামলা দিয়ে দিনের পর দিন বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। তিনি জানান, আমার স্বামী চাকরির সুবাধে বাড়িতে না থাকায় সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দিনের পর নির্যাতন করতে থাকে। আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তার চাকরি শেষ করে দিবে বলেও হুমকি দেয়। আমি ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ নিয়ে গেলেও সে কোন কর্নপাত না করে আমাকে হুমকি প্রদান করে, আমার স্বামী ওসির সাথে যোগাযোগ করলেও সে আমার অভিযোগ তো নেয়নি বরং আমার স্বামীর সাথেও খারাব আচরন করে। সন্ত্রাসীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ওসি আনোয়ার হোসেন ভুমিদস্যু লোকমান গাজীর সাথে যোগসাজোসে আমার স্বামীর বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত করবার কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি আরো জানান, গত ১০ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বসত বাড়িতে অবস্থানকালে স্থানীয় লোকমান গাজীর নেতৃত্বে স্থানীয় আবু সালেহ গাজী, মেহেদী হাসান সরদার, মাসুদ সরদার, মাহিম সরদার, হোসেন গাজী, ছরোয়ার সরদার, শাহীন সরদার, লাকী বেগম, সাথী বেগম, জাহানারা বেগম, বুলু বেগম বে-আইনী ভাবে আমাদের বসতঘরে প্রবেশ করে। কিছুক্ষন পরে পুলিশ আসলেও তারা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের সম্পূর্ন সহযোগীতায় বসত ঘরের সকল মালামাল তছনছ করে দেয়। সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনে আমিসহ আমার ছেলে ছিফাত, ভাতিজা নাইমুল ইসলাম সিয়াম ও আমার জা শাহিদা আক্তার লিলিকে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে। পরে পুলিশ সন্ত্রাসীদের কিছু না বলে আমাদের থানায় নিয়ে যায়। প্রশাসন আমাদের চিকিৎসার সুযোগ করে না দিয়ে থানায় সকাল ১১টার পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বে-আইনীভাবে আটকে রাখে। পরে সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে ও আমাদের প্রানে মেরে ফেলবার হুমকি প্রদান করে। আমরা প্রনের ভয়ে পিরোজপুর চিকিৎসা না করে বাগেরহাট ২৫০শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করছি। তিনি এ সকল ঘটনার সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় পুলিশ সদস্যর ভাইয়ের স্ত্রী নাহিদ আক্তার লিলি উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *