মো. আফজল হোসেইন, শ্রীমঙ্গল
চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলের তরুণ প্রতিভা, ‘ছন্দের কারিগর’ খ্যাত কবি, ছড়াকার ও সাংবাদিক পারভেজ হাসান বাংলাদেশ বেতারের গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি সিলেট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি এই রাষ্ট্রীয় সম্মাননার স্বীকৃতিপত্র গ্রহণ করেন এবং চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এর ফলে তার লেখা গান এখন থেকে দেশজুড়ে বাংলাদেশ বেতারের সকল কেন্দ্রে প্রচারিত হবে এবং বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পীরা তার গানে কণ্ঠ দিতে পারবেন। পারভেজ হাসানের জন্ম ১৯৯২ সালের ৯ নভেম্বর মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাইটুলা গ্রামে। পিতা আব্দুর রশিদ ও মাতা রীনা বেগমের দুই সন্তানের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ। শৈশব থেকেই লেখালেখির প্রতি ছিল তার প্রবল ঝোঁক। ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকতেই তার কবিতা লেখার হাতেখড়ি। ২০০৯ সাল থেকে গান লেখা শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক গান রচনা করেছেন তিনি। তার লেখা অসংখ্য কবিতা ও ছড়া দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং লিটলম্যাগে প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষাজীবনে পারভেজ হাসান শ্রীমঙ্গলের হাজী আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং কমলগঞ্জ গণ-মহাবিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি পারভেজ হাসান সাংবাদিকতা জগতেও রেখেছেন দক্ষতার ছাপ। প্রজন্ম ট্রিবিউন, ডিপিসি বাংলা টিভির মতো গণমাধ্যমে কাজ করার পর বর্তমানে তিনি ‘মর্নিং পোস্ট’ পত্রিকার জেলা স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি অসংখ্য সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত পারভেজ হাসান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “দীর্ঘদিনের লেখালেখির পর গীতিকার হিসেবে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত হতে পারা আমার জীবনের অন্যতম বড় একটি প্রাপ্তি। এই ক্ষুদ্র জীবনের ছোট ছোট অর্জনগুলো সামনে চলার পথকে আরও সুগম করে এবং অদম্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়।” তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ টেলিভিশনেও (বিটিভি) গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন। এদিকে, পারভেজ হাসানের এই সাফল্যে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, “তোমার এই সাফল্যে আমরা আনন্দিত এবং তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আশা করি, তোমার লেখনী থেকে আরও নতুন নতুন গান সৃষ্টি হবে, যা বাংলা সঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করবে এবং শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নেবে।