ePaper

বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে মূল্যস্ফীতি কমেছে: আনিসুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টার অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে ইনফ্লেশন কমেছে এবং গ্রোথ পজিটিভ আছে, নেগেটিভ হয়নি। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহিংস উপায়ে সরকার পতনের পর অর্থনীতিতে যেই দুর্দশা নেমে এসেছিল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি তারচেয়ে অনেক ভালো গেছে। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রণালয়ে সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নিজের বক্তব্যের পক্ষে এ সময় বিশ্বের কয়েকটি দেশের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যেসব দেশে সহিংসভাবে সরকার পরিবর্তন হয়, যেমন- ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ইরান, নিকারাগুয়া, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়াসহ সব দেশ; এসব দেশে সরকার পরিবর্তনের পর প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। পৃথিবীর সব দেশেই মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়, গ্রোথ কমে যায়। সেই তুলনায় আমাদের এখানে কম হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে ইনফ্লেশন কমেছে এবং গ্রোথ পজিটিভ আছে, নেগেটিভ হয়নি। এটা একটা মিরাকুলাস অ্যাচিভমেন্ট। ইন্দোনেশিয়াতে ৯৭-৯৮ ক্রাইসিসের সময় দারিদ্রের হার ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে গিয়ে ৪০ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল। এই বিশেষ সহকারী আরও বলেন, রাশিয়ায় যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়লো, তাদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রায় ১০ বছর লেগেছে। তাদের জীবনমান নেতিবাচক হয়েছে। ৯০০ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। এটা ঠিক করতে তাদের ১০ বছরের মতো সময় লেগেছে। রাশিয়া এত বড় একটা উন্নত দেশ। গত জুলাই মাসে একটি পত্রিকার খবরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জুলাই মাসে বিশ্বব্যাপী স্টক মার্কেটের একটা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে গেছে। ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ। ওরা স্টক মার্কেট যেই অবস্থায় রেখে গিয়েছিল সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আপনারা বলতে পারেন যে স্টক মার্কেটে এখনো নিম্ন গতি। স্টক মার্কেটে আপস অ্যান্ড ডাউন থাকে। কর্মসংস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, আইএলও’র নিয়ম অনুযায়ী আমরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনা করে থাকি। কিন্তু ইন্টারনেটের যুগে প্রচুর লোক এখন ইন্টারনেটে আয় করে। সেটা আমাদের হিসাবে আসে না। তারা আত্মকর্মসংস্থানে আছে, ঘরে বসে আয় করছে। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *