সবুজ দাস, ফরিদপুর
বর্ণিল আয়োজনে মধ্য দিয়ে ফরিদপুর শহরের লালেড় মোড় উত্তর টেপাখোলা সফিস্টিকেডেট কিন্ডার গার্টেন স্কুলে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হলো বর্ষবরণ। পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির দিনব্যাপি আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক আনন্দময় মিলনমেলায় পরিণত হয়। সফিস্টিকেডেট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক রেজাউল করিম রুমির উপস্থাপনায় ও স্কুলের শিক্ষক শাহিনের পরিচালোনায় এতে নাচ-গান, কবিতা আবৃত্তি, ফ্যাশন শো, কবিতা আবৃত্তি সহ জমকালো আয়োজিত গ্রাম বাংলার বিভিন্ন দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যালয়েলর শিক্ষকরাও অংশগ্রহন করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এহসানুল হক শামিম জানান, দিন দিন কালের বিবর্তন আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় শত বছরের গ্রামীণ অনেক ঐতিহ্যবাহী লোকজ শিল্প আর সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে। কিন্তু বৈশাখকে ঘিরে গ্রাম বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতিকে কিছটুা হলেও বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেস্টা করা হয়। বর্তমান প্রজন্মরা জানতে পারে কেন পহেলা বৈশাখকে ঘটা করে উদযাপন করা হয়? এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার পাশাপাশি দেশের সাংস্কৃতি ও আবহমান গ্রাম বাংলার শত বছরের ঐতিহ্য গ্রামীণ লোকজ শিল্পকে শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতেই মুলত এ আয়োজন। এতে করে শিক্ষার্থীরা গ্রাম-বাংলার সাংস্কৃতি-শিল্প তথা একে অপরের সঙ্গে ভাতৃত্বে মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন মো. এহসানুল হক শামিম। উল্লেখ্য শহরের লালেড় মোড় উত্তর টেপাখোলায় প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দানের লক্ষ নিয়ে ২০০৬ সন থেকে যাত্রা শুরু করে সফিস্টিকেডেট কিন্ডার গার্টেন স্কুল। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ২ শতাধীকেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। স্থানীয়র পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে এই স্কুলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করছে। এ ছাড়াও এতিম এবং অসহায় শিশুদের বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ রয়েছে স্কুলটিতে। যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিবছরই গভীরখালী স্কুল, জেলা স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুলে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা এবং লটারি মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।