ePaper

ফের ব্যাংকের শেয়ারের দরপতন, পতনে শেয়ারবাজার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক            

এক কার্যদিবস কিছুটা দাম বাড়ার পর দেশের শেয়ারবাজারে ফের অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে। এতে সার্বিক শেয়ারবাজারেও দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৬ অক্টোবর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাংকের পাশাপাশি অন্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে এ বাজারেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ে। এতে বাড়ে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের পরিমাণ। এ পরিস্থিতিতে রোববার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর একের পর এক ব্যাংকের শেয়ার দাম কমতে থাকে। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ব্যাংক কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম কমার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতেও। ফলে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৮টির। আর ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে ব্যাংক খাতের ৭টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২২টির এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১১২টির দাম কমেছে এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ২৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪৫টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩০টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪১টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৯টির দাম কমেছে এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬১ কোটি ৫৫ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৮ কোটি ৬০ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার। ১৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রবি, সিটি ব্যাংক, সোনালী পেপার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং ওরিয়ন ইনফিউশন। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯২টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *