ePaper

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ও ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা বেলজিয়ামের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় মানবিক বিপর্যয় ও ইসরায়েলের সহিংসতার প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেই এই স্বীকৃতি দেবে দেশটি।কইসঙ্গে দেশটি ইসরায়েলের ওপর ১২টি নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।বার্তাসংস্থাটি বলছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভো এ সিদ্ধান্ত জানান। এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের পর এবার বেলজিয়ামও ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াল।এদিকে গাজায় যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে থাকা ইসরায়েল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার এই প্রতিশ্রুতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।বেলজিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভো এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, বেলজিয়াম নিউইয়র্ক ঘোষণা স্বাক্ষরকারীদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান— অর্থাৎ ইসরায়েলের পাশে শান্তিপূর্ণভাবে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায়” বেলজিয়াম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রেভো আরও জানান, বেলজিয়াম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১২টি “কঠোর” নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এর মধ্যে দখলকৃত অঞ্চলের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, ইসরায়েলি কোম্পানির সঙ্গে সরকারি ক্রয়নীতি পুনর্বিবেচনা এবং হামাস নেতাদের বেলজিয়ামে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করাও রয়েছে।মূলত দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিন পশ্চিম তীর ও গাজায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে। আর পূর্ব জেরুজালেম হবে সেই রাষ্ট্রের রাজধানী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হলো— এমন রাষ্ট্র কেবল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।প্রেভো বলেন, ইসরায়েলি সরকার ও হামাস উভয়ের ওপর চাপ বাড়াতেই বেলজিয়ামের এই সিদ্ধান্ত।প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয়, ইসরায়েলের দখলদারিত্ব এবং পশ্চিম তীরসহ দখলকৃত অঞ্চলে বসতি স্থাপন বেআইনি, যা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। তবে ইসরায়েলের দাবি, এই অঞ্চলগুলো আইনি দিক থেকে দখল নয়, বরং বিতর্কিত এলাকা। কিন্তু জাতিসংঘসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এগুলোকে দখলকৃত অঞ্চল হিসেবে দেখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *