লিয়াকত হোসেন, ফরিদপুর
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ক্লাস বর্জন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি এ.এফ. মুজিবুর রহমান সড়ক হয়ে লালের মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি: ১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য বরাদ্দ ৩০% প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।; ২. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের জন্য “ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং” ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করতে হবে।; ৩. ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।; ৪. পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করতে বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।; ৫. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।; ৬. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে ন্যায্য বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি রিটের প্রেক্ষাপটে দেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ঐক্যমতে পৌঁছেছে। তারা ঘোষণা দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং আন্দোলন চলবে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ মাহিম, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাফিজুল রোহান এবং ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী লামীম ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আক্কাস আলী শেখ জানান, শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন, যা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, “আমরা তাদের পাশে আছি। তবে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন ক্লাসে ফিরে আসে এবং দাবি আদায়ের প্রক্রিয়াটি সুশৃঙ্খলভাবে চালিয়ে যায়।