ব্যুরো চিফ, ফরিদপুর
ফরিদপুরে অসাংগঠনিকভাবে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠনের অভিযোগে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা এবং সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে দলীয় সাংগাঠনিক টিম। শুক্রবার স্বাক্ষরিত এ নোটিশ শনিবার দুপুরে প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া স্বপন। নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। শোকজ চিঠিতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলা এবং সংশ্লিষ্ট পৌরসভাগুলোর কমিটি গঠনে “পক্ষপাতমূলক আচরণের” অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, সাংগঠনিক টিমের পরামর্শ অনুযায়ী কমিটি না করে একপক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কোন প্রক্রিয়ায় ও কিসের ভিত্তিতে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছেÑতার তথ্য ও প্রমাণসহ লিখিত ব্যাখ্যা আগামী সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। এই নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন দল পুনর্গঠন সংক্রান্ত ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক টিমের প্রধান ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান সেলিম। জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুন বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌরসভা, ১৯ জুন মধুখালী উপজেলা ও পৌরসভা এবং ১৪ আগস্ট আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে আলফাডাঙ্গায় দলের দুই পক্ষের বিরোধের কারণে সম্মেলন দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং এখনও কোনো প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। তবে বোয়ালমারী ও মধুখালীর উপজেলা ও পৌর কমিটি ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। শোকজ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া বলেন, “আলফাডাঙ্গা বাদে বোয়ালমারী ও মধুখালীর চারটি কমিটি দুই মাস আগে ঘোষণা করা হয়েছে। তখন কোনো পক্ষ থেকে লিখিত বা মৌখিকভাবে আপত্তি ওঠেনি। তাই হঠাৎ করে এই শোকজ চিঠি কেন দেওয়া হলো, তা আমরা বুঝতে পারছি না। তবে যেহেতু সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে, আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তথ্য-প্রমাণসহ লিখিত জবাব দেব।”
