ব্যুরো চিফ, ফরিদপুর
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, সিভিল সার্জন মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সূরা সদস্য অধ্যাপক আবদুত তাওয়াব, আবু হারিস মোল্লা, খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মওলানা আমজাদ হোসেন, এনসিপি ফরিদপুর জেলা শাখার ১ নং যুগ্ম-আহবায়ক সাংবাদিক এসএম জাহিদ, জুলাই যোদ্ধা সোহেল রানা, জেলা কালচারাল অফিসার সাইফুল হাসান মিলন, ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সহ-সভাপতি সুকেশ কুমার সাহা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক নিতাই রায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট ফরিদপুর জেলার আহ্বায়ক অজয় কর, মহানগরের আহ্বায়ক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস শান্ত, সদস্য সচিব টুটুল কুন্ডু, সাগরিকা ভদ্র প্রমুখ। এ সময় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্দির কমিটির কর্মকর্তা বৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তা বিন্দু উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালনে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়। এছাড়া পূজায় ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। পুজোর দিনগুলোতে শহরে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য বাইপাস রাস্তা ব্যবহার করার জন্য পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিজয় দশমীর দিন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিমা বিসর্জন দেবার জন্য মন্দিরের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানানো হয়। এজন্য বিসর্জন ঘাটকে প্রস্তুতি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শারদীয় দুর্গাপূজার সাত দিন সমস্ত মদের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া দুর্গাপুজোতে ধর্মীয় আচরণে ডিজে গান পরিহার করে ধর্মীয় গান আরতি প্রতিযোগিতা, ইত্যাদির পরিবেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুজোয় নারী শিশুদের উত্ত্যক্ত করা এবং ইভটিজিং এর ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রত্যেকটা পূজা মন্দিরে সিসি ক্যামেরার বাধ্যতামূলক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি পূজা মন্দিরে বিকল্প বিদ্যুতের বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জেলা প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা করা হবে। পূজার সময় শহরের চকবাজারের ঘাট হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে এই দুর্গোৎসব সফল করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। পুজোতে কোন দুষ্কৃতিকারী যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য আহ্বান করা হয়। এছাড়া দুর্গাপূজা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
