লিয়াকত হোসেন, ব্যুরো ফরিদপুর
শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ফরিদপুর খেলাফত যুব মজলিসের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে উক্ত কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন খেলাফত যুব মজলিস ফরিদপুর পৌর শাখার সভপতি রইসুল ইসলাম, খেলাফত যুব মজলিসের চরভদ্রাসন উপজেলার সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান, সালথা থানার যুব মজলিসের সভাপতি হযরত মাওলানা আবুল হোসাইন, বোয়ালমারী উপজেলার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম, নগরকান্দা থানা সভাপতি মুফতি জসীমউদ্দীন, সালথা উপজেলা দায়িত্বশীল মুফতি সাইফুল ইসলাম, ফরিদপুর সদর ছাত্র মজলিসের সভাপতি মোল্লা রহুল আমীন, খেলাফত যুব মজলিস মধুখালী থানার সাধারন সম্পাদক মুফতি শফিকুল ইসলাম, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে আহত প্রত্যক্ষদর্শী হাফেজ আমিনুল ইসলাম, হাফেজ ক্বারী আহাম্মদউল্লা, নগরকান্দা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ তানভীর প্রমুখ। এ সময় সংগঠনটির অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করেন। তারা বলেন আজ থেকে ১২ বছর আগে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ হেফাজত কর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আজ এত বছর পরে এসেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হয়নি। শাপলা চত্বরে হেফাজতের ভাইদের যারা শহীদ করেছে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার আর কোন অধিকার নেই। আওয়ামী লীগকে অতি দ্রুত বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন ২০১৩ শাপলা চত্বরে যারা নিহত হয়েছেন আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। খুনি হাসিনা নাস্তিকদের পাশে দাঁড়িয়ে তৌহিদী জনতার বুকে নির্মমভাবে গুলি করেছিল। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান করতে চাই, খুনি হাসিনাকে ভারত থেকে এনে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করে ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা করতে হবে। ৫ আগস্ট বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও ইসলামপন্থীরা এর কোনো সুফল পাচ্ছে না। মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ এই দেশে মুসলিম গণহত্যার বিচার এখনো হয়নি। খেলাফত যুব মজলিস শাপলা চত্বরে গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানায় ও হত্যার সাথে জড়িত সকলের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এসে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।