ব্যুরো চিফ, বৃহত্তর ফরিদপুর:ফরিদপুর পৌরসভার কুমার নদের তীর ঘেষা পল্লী কবি জসীমউদ্দিনের বাড়ির কাছেই মোসলেমের খেয়া ঘাট সংলগ্ন গোবিন্দপুর গ্রাম। চৈত্রের দুপুরে খর রোদে যেন আরও শীর্ণ হয়েছে ফরিদপুর শহরের কুমার নদ। তাপ উঠে আসছে মাটি থেকেও। এই গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক সাহিদা বেগম। সাহিদা মাঠজুড়ে ফলিয়েছেন ‘কালো সোনা’ বলে পরিচিত পেঁয়াজের দানা। এই দানা উৎপাদন করে সাহিদা বেগম এখন শুধু একজন সফল কৃষকই নন, সফল উদ্যোক্তা এবং দেশসেরা কৃষক। ফরিদপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নত জাতের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। ৪৪ বছর বয়সী সাহিদা বেগমের স্বামী বক্তার হোসেন খান একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের কর্মকর্তা। ১৯৮৭ সালে বিয়ে হয় এই দম্পতির। তাদের দুই মেয়ে। বড় মেয়ে মেরিনা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করেছেন এবং তিনি বিবাহিত। ছোট মেয়ে মার্জিয়া আক্তার নবম শ্রেণির ছাত্রী। এই নারী কৃষক সাহিদা বেগম ২০২১ সালে এআইপি হয়েছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি উৎপাদন বা বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প শ্রেণিতে তিনি এ সম্মান পেয়েছেন। ২০২০ সালে তিনি অনন্যা শীর্ষ দশ নির্বাচিত হন। একই বছর দেশের সেরা কৃষক হিসেবে পেয়েছেন স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ডসহ নানা স্বীকৃতি। ফরিদপুর কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনকারী কৃষকদের তালিকায়ও তিনি সেরা। চলতি বছর তিনি পেঁয়াজের বীজ বিক্রি করেছেন কমপক্ষে চার কোটি টাকার। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে সাহিদা বেগমের আয় হয়েছে তিন কোটি টাকার মতো।
ফরিদপুরের সাহিদা বেগম গৃহিণী থেকে দেশসেরা কৃষক
