রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চরাঞ্চলের শ্রীনগর ইউনিয়নের দুইজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর সেসব সংবাদের তথ্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন। এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত ওই সংবাদটির প্রতিবাদ জানান তারা। পত্রিকায় যেসব কথা বলা হয়েছে তা সঠিক নয় দাবী করে সংবাদ সম্মেলনে জসিম উদ্দিন বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করিয়েছে। অসুস্থতার কারনে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে চলে আসি। এজন্য তারা ভাবতেছে আমি অস্ত্রের প্রশিক্ষণ করাই। মুলত সন্ধ্যার পর আমি বাড়ি থেকেই বের হইনা। প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন। সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মানসম্মানকে ক্ষুন্ন করার জন্য প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে। এটি সম্পুর্ন বানোয়াট এবং মিথ্যা। রিপোর্টে আমাকে এবং আমার ছোট ভাইয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের পরিবার এমন শিক্ষা দেয়নি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে ঘটনার বিচার এবং তদন্ত চান তিনি। সেখানে দুই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বলেন, “আমরা দেশের সেবায় দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু আমাদের নাম জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক মর্যাদাকে হেয় করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মামুন কবির বলেন, স্কুলে ১২ বছর যাবত চাকরি করতেছি। সন্ধ্যা ৭ টার পর স্কুলে এসে সকাল ৬ টায় বের হই। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে অস্ত্র প্রশিক্ষণের কোনো ঘটনা কখনও দেখিনি। রাতে বিদ্যালয়ের একটি গেইট তালা লাগানো থাকে। প্রসঙ্গত, নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলের সায়দাবাদ স্কুল মাঠে আওয়ামীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে শিরোনামে বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রচার করা হয়। সেখানে দুই সেনা সদস্যকে জড়িত করে সংবাদটি পরিবেশিত করা হয়।
