ePaper

পেকুয়ায় বনবিভাগের অভিযানে অবৈধ পাকাবাড়ি উচ্ছেদ

ফয়সাল আলম সাগর, কক্সবাজার

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের রমিজ পাড়া ঢলারমুখ এলাকায় বনবিভাগের সংরক্ষিত জায়গায় নির্মিত একটি অবৈধ পাকাবাড়ি উচ্ছেদ করেছে বন বিভাগ। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে সহায়তা করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম। উচ্ছেদকৃত পাকাবাড়িটি সৌদি প্রবাসী হেলাল উদ্দিন নির্মাণ করেন। তিনি নজির আহমদের ছেলে এবং দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থান করছেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান জানায়, হেলাল উদ্দিন সংরক্ষিত বনভূমির প্রায় ১ একর জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেন। বিষয়টি জানার পর বনবিভাগ তাঁর বিরুদ্ধে গত ২ জুলাই ফরেস্ট আইনে মামলা দায়ের করে। যার মামলার নম্বর চ.ঙ.জ ১৯। বিষয়টি আমলে নিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অবৈধ স্থাপনাটি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন। আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবিরের দেওয়া এ রায়ের ভিত্তিতেই রবিবার অভিযান পরিচালিত হয়। তিনি আরও বলেন, বন বিভাগের আওতাধীন সংরক্ষিত জমিতে অনুমতি ছাড়া স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থাপনাটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও বনভূমি দখলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে বনবিভাগের এই অভিযানে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, স্থাপনাটি একদিনে নির্মাণ হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে নির্মাণ চললেও তখন বন বিভাগের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, যারা পাহাড়ে ঘরবাড়ি করে, তারা সবাই জানে ‘ম্যানেজ’ না করলে কিছুই হয় না। টাকা দিলেই সবকিছু হয়। আজ যদি টাকা না দেওয়া নিয়ে বন বিভাগের সঙ্গে সমস্যা না হতো, তাহলে হয়তো ঘরটা ভাঙাও হতো না। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এমন বহু স্থাপনা গড়ে উঠলেও কর্তৃপক্ষ অনেক সময় চোখ বন্ধ করে রাখে। ফলে প্রশ্ন উঠছে সবই কি আইন অনুযায়ী হয়, না কি অন্য কোনো হিসাব-নিকাশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *