ePaper

পেকুয়ায় গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাতে এক ব্যাক্তিকে হত্যা

ফয়সাল আলম সাগর, কক্সবাজার

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে জসিম উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিলখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচা মাতবর মুরা এলাকায়। নিহত জসিম উদ্দিন ওই এলাকার নুর আহমদের ছেলে। স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মুরগির ডাক নকল করে বাড়ির দরজা খুলতে বাধ্য করে। দরজা খোলামাত্র তারা ঘরে ঢুকে প্রথমে জসিম উদ্দিনের পেটে ছুরিকাঘাত করে, পরে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নিহতের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী ইখতিয়ার উদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার মনির আহমদ ওরফে মনুর মেয়ে উর্মির প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা ইখতিয়ারের পরিবার মেনে নেয়নি। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে এবং সেই বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে মনে করছেন তারা। পুলিশ সেগুনবাগিচা এলাকার মনছুর আলম, জহির আহমদ ও তার ছেলে আতিককে আটক করেছে।

স্থানীয় ও পরিবারের বক্তব্য: স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ শফি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের ছেলে ওমান প্রবাসী মোহাম্মদ আশিক অভিযোগ করে বলেন, “কয়েক মাস আগে উর্মি নামে এক মেয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। তার সঙ্গে আমার ছোট ভাই ইখতিয়ারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছোট ভাই দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিল, কিন্তু মেয়ের পরিবার তা মেনে নেয়নি। এ নিয়ে বিরোধের জেরেই আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মনছুর নামে এক ব্যক্তি চকরিয়ার হারবাংয়ে তার খালার বাড়িতে গিয়ে খালা ও খালার স্বামীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তার বাবা খুন হন। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “শিলখালী সেগুনবাগিচা এলাকায় জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *