নিজস্ব প্রতিবেদক
পিরোজপুরে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. চান মিয়া মাঝিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনা, ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে পিরোজপুর সদর থানায় এ মামলা রুজ করা হয়। পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বাদী হয়ে এ মামরা দায়ের করেন। মামলায় চান মিয়া মাঝি ছাড়াও তার ছেলে মুরাদ হোসেন মাঝি, ভাগ্নে পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, হারুনার রশিদ বাদশা, মো. মাসুদ মাঝি, রশিদ শাহরিয়ার মাঝি, লোকমান হোসেন হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ঝন্টু, সামশুদ্দিন কালু, মো. সাখাওয়াত হোসেন মল্লিকসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা নং ৪/৬২ তারিখ ০৭-০৪-২০২৫ইং ধারা-৩৪১/৩৯৭/৪২৭/৩৮০/৩৮৫/৫০৬ পেনাল কোড পিরোজপুর। মামলার এজাহারে বলা হয়, আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোট মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে আলহাজ শামীম বিন সাঈদীর ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার নির্বাচনের পক্ষে তৎকালীন জেলা বিএনপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম কলিম নির্বাচনী কাজ করতে ঢাকা থেকে পিরোজপুরের বাড়িতে গেলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীগের সন্ত্রাসী কৃষক লীগের পিরোজপুর জেলা সভাপতি চান মিয়া মাঝির নেতৃত্বে ২০১৮ মালের ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ২০/২৫ জন অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বাহিনী পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের চান মিয়া মাঝির বাড়ির সামনের ব্রীজের ঢালে তার (মো. জহিরুল ইসলাম কলিম) গাড়ি থামিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং গাড়ির মধ্যে থাকা ধানের শীষ প্রতীকের পোষ্টার ও লিফলেট ছিনিয়ে নেয়। এসময় সন্ত্রাসী হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং কলিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝির নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, হকিস্টিক ও দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা কলিমের বাড়ির সামনে বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে ২০/২৫ রাউন্ড গুলি ও ৮/১০টি বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে ঘরে প্রধান ফটক দাও দিয়ে কুপিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং তার স্ত্রী ও মায়ের স্বর্নের জিনিস ও মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায় এবং তারা কলিমের বৃদ্ধ মায়ের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং কলিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকি তার ৮ বিছরের শিশুকে অপহরণের হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরে কলিম তার পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে আসতে বাদ্য হয়। এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের একটি ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা রুজ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করার চেস্টা চলছে, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।