সুমন মিয়া (গাইবান্ধা) সুন্দরগঞ্জ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন আলামিন মিয়া নামে এক সন্তান। তিনি গতকাল রোববার দুপুরে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের সুনামি মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। আলামিন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব বৈদ্যনাথ গ্রামের মৃত আশেক আলীর ছেলে। আলামিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা দ্বিতীয বিয়ে করেন। দ্বিতীয় মায়ের সাথে ছাড়াছাড়ি হলে ২০২৪ সালে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম ঝিনিয়া গ্রামের মতিয়ার রহমান ওরফে মশিউর রহমানের কন্যা মোছাঃ আল্পনা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন সংসার ভালো চললেও আল্পনা বেগম পরবর্তীতে অন্য পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে অশালীন জীবনযাপন করতে থাকেন। আমার পিতা একাধিকবার নিষেধ করলেও তিনি তা মানেননি। পরে আল্পনা আক্তারের মা শহিতন বেগম, পিতা মতিয়ার রহমান এবং তাদের আত্মীয় ছাদেক আলী বিভিন্ন সময় কু-পরামর্শ দিয়ে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একদিন আশেক আলীর অবর্তমানে তারা আল্পনাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। আল্পনা যাওয়ার সময় আশেক আলীর এক লক্ষ টাকাও নিয়ে যায়। এরপর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে আশেক আলী এ বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ বিয়ের কাবিননামা মূলে স্ত্রীকে উদ্ধারের আবেদন করেন। মামলায় আল্পনা আক্তারের মা, পিতা এবং আত্মীয় ছাদেক আলীকে আসামি করেন। এতে তারা কৌশল অবলম্বন করে মামলা প্রত্যাহারের জন্য নানা প্রলোভন দিয়ে কাজ না হওয়ায় আশেক আলীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন বলে দাবি করেন আলামিন। এছাড়া প্রলোভনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩১ জুলাই রাতে আল্পনা আক্তার তার বাবার বাড়িতে আশেক আলীকে ডেকে নেন। সেখানে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন সহযোগীসহ সুকৌশলে আশেক আলীকে বিষ পান করিয়ে হত্যা করে তার মরদেহ বাড়ির গেটের সামনে ফেলে রাখে। পরদিন পহেলা আগস্ট সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করে। সেই সাথে পুলিশ আল্পনাকে গ্রেপ্তার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু এই হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্তা নেওয়া হচ্ছে না। আলামিন তার পিতার হত্যাকারি অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান।
