স্পোর্টস ডেস্ক
উয়েফা সুপার কাপে গতকাল (বুধবার) রাতে মুখোমুখি হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী পিএসজি ও ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন টটেনহ্যাম। যেখানে নির্ধারিত সময়ে ২-২ সমতা থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে ফরাসি জায়ান্টরা শিরোপা উৎসব করেছে। ম্যাচ শুরুর আগে উয়েফার পক্ষ থেকে শিশু ও বেসামরিক মানুষের ওপর চলমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহবান জানানো হয়। ইতালির উদিনে ব্লুনার্জি স্টেডিয়ামে হয়েছে উয়েফার শীর্ষ দুই প্রতিযোগিতার শিরোপাধারীদের লড়াই। খেলা শুরুর আগে ফুটবলারদের সঙ্গে মাঠে প্রবেশ এবং জাতীয় সঙ্গীতের সময় তাদের পাশে থাকা শিশুদের (ম্যাসকট চাইল্ড) একটি দল ব্যানার নিয়ে আসে। যেখানে ?উয়েফার পক্ষ থেকে একটি বার্তা লেখা ছিল– ‘শিশু হত্যা বন্ধ করো। বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করো।’
পরবর্তীতে সেই ছবিটি নিজেদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে দিয়ে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ এই সংস্থা লিখেছে, ‘বার্তাটি যথেষ্ট জোরে এবং স্পষ্ট। এটি একটি ব্যানার, একটি ডাক।’ বোঝাই যাচ্ছে শিশু হত্যার বিরুদ্ধে নিজেদের জোরালো অবস্থান প্রকাশ করতে চেয়েছে উয়েফা। যদিও দখলদার ইসরায়েলের লাগাতার ফিলিস্তিনি শিশু ও বেসামরিক মানুষের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো নিয়ে দীর্ঘ সময় নীরব থাকা নিয়ে সংস্থাটি সমালোচিত। এ ছাড়া উয়েফা সম্প্রতি জানিয়েছে, গাজার শিশুদের মানবিক সহায়তায় প্রজেক্ট রয়েছে তাদের। সম্প্রতি মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ‘ফিলিস্তিনি পেলে’খ্যাত ফুটবলার সুলেইমান আল ওবেইদ। এই ঘটনায় তার ‘বিদায়’ উল্লেখ করে একটি বার্তা দিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা। যা নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। উয়েফার দিকে প্রশ্ন তুলেছেন লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ–ও। ৪১ বছর বয়সী সুলেইমানের মৃত্যুতে সংস্থাটি এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছিল, ‘সুলেইমান আল ওবেইদকে বিদায়, তিনি “ফিলিস্তিনি পেলে”। একইসঙ্গে এমন এক প্রতিভা যিনি অসংখ্য শিশুর কাছে ছিলেন আশার উৎস, এমনকি সময়ের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়েও।’ ইউরোপীয় ফুটবলের এই অভিভাবক সংস্থার বার্তা দেখে নেটিজেনদের অভিযোগ– যেন সুলেইমানের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়েছে। প্রায় একই সুরে প্রশ্ন তুললেন তারকা ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের তারকা ফুটবলার সালাহ। উয়েফার দিকে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি বলতে পারবেন তিনি কীভাবে মারা গেছেন, কোথায় এবং কীভাবে?’এর আগে সমালোচিত বার্তা দেওয়ার পর উয়েফাকে নিয়ে আলজাজিরাকে ফিলিস্তিনি ফুটবলের প্রতিষ্ঠাতা বাসিল মিকদাদি বলেন, ‘উয়েফা এখনও ফলো-আপ (সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায়) বার্তা দেয়নি। যদি তারা তেমন কিছু করেও, আমি অবাক হবো। সংঘাতের শুরু থেকেই তারা সম্পূর্ণ নীরব ছিল। ফলে আল-ওবেইদকে স্মরণ করা ছিল আশ্চর্যজনক। কারণ তিনি প্রথম কোনো ফিলিস্তিনি ফুটবলার নন, ৪০০–এর বেশি অ্যাথলেট মারা গেছে চলমান এই সংঘাতে।
