পটুয়াখালীতে বয়স গোপন করে দপ্তরি পদে চাকরি রাষ্ট্রের বেতন ভাতা আত্মসাৎ

কাজীমামুন, পটুয়াখালী

জেলার গলাচিপা উপজেলার বকুল বাড়ীয়া ইউনিয়নের লামনা সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দপ্তরি পদে মো. ইসুব সিকাদার নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৯৮৪ সনে। তবে তিনি প্রকৃত বয়স গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় অভিযোগ কারী নিজেও জানেন না কিসের অভিযোগ তিনি করছেন, তবে অভিযোগটি মিথ্যা হলেও অভিযোগে লিখিত বিষয়টির তথ্য গুলো সত্যতা মিলে। দপ্তরি পদে দীর্ঘ দিন কর্মজীবন পার করে আসা ব্যাক্তি ইসুব সিকাদার নিজের জন্ম তারিখ গোপন করে টাকার বিনিময় মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ম্যানেজ করে অবৈধভাবে চাকুরি করে আসছেন এতে করে সরকারের সাথে যেমন প্রতারণা করেছেন তেমনি ভাবে প্রকৃত নিয়োগ প্রার্থীকেও করেছিলেন বঞ্চিত। সরজমিনে গেলে জানা যায়, ইসুব সিকাদার পিতা মৃত গয়জ উদ্দিন সকিদারের দুই ছেলে দুই মেয়ে ভিতর ইসুব সিকদার তিন নম্বার ইসুব সিকদারের বড় ভাই মৃত ইউনুস সিকদার ভোটার কার্ড নং ৭৮০৬৯৪৫১৮৬১৫ জন্ম ১/১/১৯৫২ মেজো বোন রুশিয়া বেগম জন্ম ১৯৫৮ সন্িসিুব সিকদার তিনি নিজে জন্ম ১/১/১৯৬৪ ছোট বোন কুলসুম বিবি ৬৮৯১১৬৪০৬০ জন্ম ৩/৯/১৯৭০ এবং স্ত্রী রাশিদা বেগম ৪৬১৭০০৩২৭৪ জন্ম ২/৭/১৯৭৯ বড় মেয়ে তানিয়া বেগম ৫০৫৩৬৮৭০২৫ জন্ম ৭/৬/১৯৯০। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তমতে, মাদ্রাসাটরর দপ্তরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৬০ বছর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত ইউসুব সিকদারের বয়স ৬১ বছর ৪ মাসেরও বেশি (জন্ম: ০১.০১.১৯৬৪)। মাদ্রাসার দপ্তরী পদে পদে মো. ইসুব সিকাদার গত ১/১/১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের নিয়োগ নেন। তার ৮ম পাশের সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬৪। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ৬১ বছর তিন মাস, এই মোতাবেক সরকারি বিধি অনুসারে তার চাকুরী থেকে অবসর যাওয়ার কথা ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু ২০২৪ সনেই চাকরির বয়স শেষ হলেও তিনি এখন প্রযন্ত লামনা সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দপ্তরি পদে বেতন-ভাতা নিয়ে আসছেন যাহা সম্পন্ন অবৈধ। বয়স গোপন করে রাস্টর সাথে প্রতারণা করে অর্থ লোপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে লামনা সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জশিম উদ্দিন বলেন আমি ইসুব সিকাদারের নিয়োগের পরে আসছি তার নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা আর পারলেও আমাকে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের অনুমতি নিয়ে বলতে হবে। এ সময় দপ্তরি ইসুব সিকাদারে নিয়োগ ও ৮ম শ্রেনীর সনদপত্র সহ নিয়োগের কাগজ পত্র দেখতে চাইলে অধ্যক্ষ তা দেখাতে অপরাগত প্রকাশ করেন এবং ইসুব সিকাদারে সাথে দেখা করতে চাইলে তাকে সামনে আসতে বারণ করেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মো. জশিম উদ্দিন। পরে গলাচিপা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অফিসে পাওয়া না গেলে জেলা শিক্ষা অফিসার মুজিবর রহমান প্রতিবেদকের কাছে সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি তার আলকে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আমরা লামনা সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধক্ষসহ অভিযোগকারী ও অভিযুক্তকে নোটিশ করেছি বয়স নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য জেলা শিক্ষা অফিসার গলাচিপা লামনা সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নিকটর একটি নোটিশ পেরণ করেন যা আগামী ২৪ এপ্রিল বিকাল তিনটায় জেলা শিক্ষা অফিসে তদন্ত কার‌্য অনুষ্ঠিত হবে বলে নোটিশ প্রধান করেন যার স্মারক নং জেসিঅ/পটু/ ৪৫১/৫।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *