কাজী মামুন, পটুয়াখালী
গভীর রাতে হঠাৎ ভেকু মেসিনের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের, তরিগরি করে ঘর থেকে বেড় হয়ে দেখা যায় বাড়ির পাশেই নিজ ফসলী জমিতে ভেকু দিয়ে হচ্ছে মাটি খনন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন আমরা প্রথমে কিছুটা বিচলিত হলেও সামনে গিয়ে দেখতে পাই দেশিয়ও অস্ত্র, লাঠি রামদা, লোহার রড হাতে নিয়ে আবু সালেহ সহ চার পাঁচ জন ব্যাক্তিকে। কেনো ভেকু মেসিন দিয়ে মাটি কাঁটা হচ্ছে জানতে চাইলে তর্কে জড়িয়ে পরে অবু সালেহে, পরে ব্যাপক কথা কাটাকাটি হলে স্থানীয়দের রোষানলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আবু সালেহ সহ তার সহযোগীরা এমনটাই বলেন অবুল বাসার ও স্থানীয়রা। সকালে থানায় ১টি লিখিত অভিযোগ করেন ভোক্ত ভোগী আবুল বাসার চকিদার। আবুল বাসার প্রতিবেদককে জানান, আমার ক্রয় কৃত সম্পত্তি শারিকখারী মৈাজার ১৪১ খতিয়ানের ১৮২ নং দাগে বাগান ও ফসলী জমি যা আমি দীর্গদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছি।
ঘটনা ক্রমে যানা য়ায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউপির শারিকখালীর ৯ নং ওয়ার্ডে গভীর রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে তিন শতাধিক কলাগাছ ও দুইশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ এবং বনজ বৃক্ষ কর্তণ ও ফসলী জমি কেঁটে ঘেড় করেছেন মো: আবু সালহে (৪৩) সহ চার পাঁচ জন। দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল মো: আবু সালেহর সাথে। তারা দুজনেই শারিকখালীর ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা। জমিজমার জেড়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতীগ্রস্ত এবং স্থানী বাসিন্ধাদের। স্থানীয়রা জানান, ১৬/৩/২৫ রাত আনুমানিক ২টার দিকে কারো কাছে কিছু না বলে ভেকু মেসিন দিয়ে কলাগাছ কর্তন সহ নানান প্রজাতির প্রায় ৫ শতাধিক গাছের চার ভেকুদিয়ে ভেঙ্গে ফেলে ফসলী জমিতে পুকুর বা ঘেড় করতে চেষ্টা করনে মৃত মাওলানা ইসমাইলের ছেলে মো: সালেহ সহ চার পাঁচজন ব্যাক্তি।
ক্ষতিগ্রস্থ আবুল বাসার বলেন, আবু সালেহ নিজ বাড়ির সামনে আমার জমি হওয়াতে তার বাড়ির সিমানা প্রশস্ত ও সৌন্দ্রর্য বাড়াতে দীর্ঘদিন আমার জমি নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে আসছেন। আমি একাধিক বার বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করলে তাতে কোন প্রকার ফল মেলিনি আবু সালেহে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি কাউকে তোক্কা না করে টাকা ও পেশী শক্তির জোড়ে অবৈধভাবে গভীর রাতে আমার কলাবাগান, মেহগনি, রেন্ডিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রোয় ৫ শতাধিক গাছের চার ভেকু দ্ধারা ভেঙ্গে ফেলেছে এতে করে আমার প্রায় তিন লখ টাকার মতন ক্ষতি হয়েছে আমি এর সঠিক বিচার আশা করছি।
অপরদিকে গাছ কর্তন ও ফসলী জমি ভেকু দিয়ে খনন করার অভিযোগে ঘটনা স্থানে পুলিশের উপ পরিদর্শক মো: রাসেল হোসেন পরিদর্শন করলে তিনি গনমাধ্যমদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি সার্বিক বিষয়ে অবগত হয়েছি আমি সার্বিক বিষয় আমার র্উধতন কর্মকর্তাদের জানাবো এবং প্রকৃত অভিযুক্তদের বিরেুদ্ধে আইিনি পদক্ষেপ নেয়ার চেস্টা করবো বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।
গভীর রাতে ফলজ গাছ কর্তন ও ভেকুদিয়ে ফসলী জমির মাটি খননের বিষয়ে অভিযুক্ত আবু সালেহে কে ঘটনা স্থানে না পাওয়া গেলে তাকে একাধিক বার ফোন বরলেও সে ফোন রিসিভ করেন নি।