ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মানের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। সড়কটি নির্মানে ব্যবহার করা হচ্ছে ইটের বদলে ইটের গুঁড়া ও খোয়া। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভে সৃষ্টি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা এলজিইডির জিএমপি-৩ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের কল্পাপোড়া বাজার থেকে পশ্চিমে মিয়াপুর গ্রামের ইটের রাস্তা পর্যন্ত ১৮০০ মিটার সড়ক নির্মানের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোমেনা এন্টারপ্রাইজ। সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সড়কটি নির্মানের শুরুতেই অনিয়ম করতে থাকে ঠিকাদার। ইট ও বালির পরিবর্তে মাটি দিয়েই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায় ঠিকাদার। রাস্তার পাশে ১নং ইট দেয়ার কথা থাকলেও ৩নং ইট ব্যবহার এবং কালভার্ট নির্মাণে নিম্নমানের ইট, বালি ও সিমেন্ট দেয়া হয়। এ নিয়ে একাধিকবার এলাকাবাসী উপজেলা প্রকৌশলী ইমদাদুল হক ও উর্ধতন কর্তৃৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন কাজ হয়নি। এলাকাবাসী জানায়, ঠিকাদার এই প্রকল্পটির কাজ শুরু থেকেই অনিয়ম করে আসছে। নিম্নমানের ইট, কংক্রিটের পরিবর্তে ইটের গুঁড়া দিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়। নরম মাটি ফেলে রাস্তার পাশ বাড়ানো হয়েছে। এতে নির্মাণ কাজ শেষ হতেই ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঠিকাদার মোহাম্মদ আলম তার নিজস্ব মালিকানাধীন ইটভাটা থেকে পরিত্যক্ত ইটের গুঁড়া এনে রাস্তার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কোন কাজ হয়নি। এদিকে নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ অব্যাহত রাখায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে ঠিকাদার ও তার লোকজন এলাকাবাসীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোমেনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলম জানান, সড়ক নির্মাণে কোনো ধরনের অনিয়ম হচ্ছে না। তবুও স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের পেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি যে ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবে কাজ করা হবে। তবে এলাকাবাসীকে হুমকি ধমকি দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সানাইমুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী ইমদাদুল হক জানান, সড়কে নির্মানে সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ার পর আমি প্রকল্প এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে কংক্রিটের পরিবর্তে ইটের গুঁড়া দেয়ার সত্যতা পেয়েছি। সেগুলো সরিয়ে ভালো কংক্রিট দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।