ePaper

নোয়াখালীতে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দের অভিযোগ

ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আলতাফ হোসেন আজাদকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করার পর সাজানো মামলয় পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ চৌধুরী আলমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন, ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন আজাদের পরিবারের সদস্যরা। আজাদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার চৌধুরী আলমদের সাথে তাদের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ এবং আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। চৌধুরী আলমের ছেলেরা অর্থশালী হওয়ায় দেশে যখন যে দলের প্রভাব থাকে তাদের টাকা দিয়ে ভাড়া করে বিরোধপূর্ণ ভূমি দখলের চেষ্টা চালায়। গত ৫ আগষ্টের পর চৌধুরী আলম ও তার ছেলেরা মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবদুল হাই এবং তাঁর ভাইদের সঙ্গে হাত মেলান। এরপর গত ৩০ জুন আবদুল হাই দলবল নিয়ে আজাদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চৌধুরী আলমদের সঙ্গে যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে, ওই জমি এখন থেকে তারা চাষ করবে বলে জানায়। তখন আজাদ মামলা চলমান থাকার কথা বলে প্রতিবাদ করলে আবদুল হাইয়ের দলীয় সন্ত্রাসীরা আজাদকে টেনেহিঁছড়ে বাড়ির সামনে থেকে পাশ্ববর্তী সরকারি রাস্তার ওপর নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে আহত করে। আলতাফ হোসেনের মা উম্মে কুলছুম সেতারা অভিযোগ করেন, আলতাফকে উদ্ধার করতে গেলে তার মেয়ে ও পুত্রবধূও হামলার শিকার হয়েছে। পরে হামলাকারীরা তার ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একটি সাজানো মামলা দায়ের করেন। থানায় তার ছেলেকে বিনা চিকিৎসায় ২৪ ঘন্টা আটকে রাখে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতে পাঠায়। তিনি তার ছেলের ওপর নির্যাতনের ঘটন এবং সাজানো মামলায় জড়িয়ে হয়রানির ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে আলতাফের বোন জোবায়েদা খানম, ভাই আরিফুর রহমান ও স্ত্রী বিবি কুলছুম উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল হাই বলেন, চৌধুরী আলম ও আলতাফদের মধ্যে জায়গা-জমি সংক্রান্ত মিমাংসা করার জন্য তাকে থানা থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। তিনি আলতাফকে ডেকে বিষয়টি বলতেই আলতাফ তার ওপর হামলা চালায় এবং তাকে কুপিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ করেন হাই। পরে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আলতাফের ওপর হামলা চালায়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী ফৌজুল আজিম জানান, আমরা বিষয়টির তদন্ত করছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *