নরসিংদীর মাধবদীতে বাবার নির্যাতনের শিকার পাঁচ কন্যা সন্তানসহ প্রথম স্ত্রী

মো.শফিকুল ইসলাম মতি, নরসিংদী

নরসিংদীর মাধবদীতে বাবার নির্যাতনের স্বীকার পাঁচ কন্যা সন্তানসহ প্রথম স্ত্রী। মামলা করেও রক্ষা পাচ্ছেনা স্ত্রী সন্তানেরা অভিযোগ পাঁচ কন্যাসহ প্রথম স্ত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে মাধবদী দড়িপাড়া বড় নওয়াপাড়া মহল্লায়। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বারেন্দায়া শিশু সন্তানদের সাথে নিয়ে গনমাধ্যম কর্মীদের সামনে নিয়াতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হাসিনা বেগম। হাসিনা বেগম মাধবদী শহরের খালপাড় এলাকার সামসুদ্দিনের কন্যা। গত ২৮ বছর পূর্বে দড়িপাড়া, বড় নওয়াপাড়া মৃত আহাদ আলী মোল্লা পুত্র মো.মতিউর রহমান সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর একে একে তাদের পাঁচটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে। এরই মধ্যে প্রতিবেশীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া অন্যের স্ত্রীর তিন সন্তানের জননীর রাজিয়া বেগমের সাথে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে মতিউর। প্রথম সংসারের স্ত্রী সন্তানদের বাড়ী থেকে বেড় করে দেওয়ার জন্য শুরু হয় অত্যাচার নির্যাতন। নির্যাতনের হাত থেকে বাচার জন্য হাসিনা বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী মতিউরের বিরুদ্ধে নরসিংদী আমলী আদালতে একটি যৌতুকের মামলা করে। মামলায় জেলে যায় মতিউর এর পরও স্ত্রী সন্তানদের ভরন পোষণ খোজ খবর না নিয়ে চালাতে থাকে অত্যাচার। মামলায় স্ত্রী সন্তানরা স্বাক্ষী দেওয়ার পরও বিচারক নওরীন ইসলাম মামলাটি খালাশ প্রধান করে। এর পর আরো বেড়ে যায় অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা। আর বাবা ও ২য় সংসারের স্ত্রী পূর্বের স্বামীর সন্তানদের অত্যাচারে এক কন্যাকে স্বামীর বাড়ী থেকে চিরতরে বেড় করে দেয় আর অপর শিশু কন্যা মাইদা নুর(১০) লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। আর কোন উপায় না দেখে উক্ত মামলায় খালাশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারী আপীল ৩১/২৫ দায়ের করে বর্তমানে আপীল মামলাটি শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য আছে। আর এসব বিষয়ে বারবার গিয়ে ও মতিউরকে পাওয়া যায়নি যার জন্য তার কোন বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নিম্ন আদালতে বিচার না পেলেও উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার পাবে এমনটায় প্রত্যাশা পাঁচ কন্যাসহ প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগমের। এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটার আ.বাছেদ ভূইয়া বলেন বাবার বিরুদ্ধে শিশু কন্যাদের ও প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ আমার জানা ছিল না, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখ জনক ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য সকল প্রকার আইনী সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *