মো.শফিকুল ইসলাম মতি, নরসিংদী
নরসিংদীর সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালিতে আধিপত্য বিস্তার ও বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির কর্মী ইদন মিয়া (৬৫) নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন, যাদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ। গুরুতর আহতদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। নিহত ইদন মিয়া আলোকবালি ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন বিএনপির বহিস্কৃত সদস্য সচিব আ. কাইয়ুমের সমর্থক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আলোকবালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদ আলী ও ইউনিয়ন বিএনপির বহিস্কৃত সদস্য সচিব আ:কাইয়ুমের মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগপন্থীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এক বছর পর বৃহস্পতিবার ভোরে পুনরায় গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিএনপি কর্মীরা বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামী লীগপন্থীরা এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করলে বিএনপির কর্মী ইদন মিয়া নিহত হন এবং অন্তত ৫ জন আহত হন। সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের স্বজনরা যমুনা টিভির এক সাংবাদিক আইয়ুব খানের ওপর হামলা চালান। এসময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আরও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। পরে পুলিশ ও সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় এখনো চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
