হেলাল উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) নবীনগর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর সদরের মো. আকসার ভূঁইয়ার আঁকা বিধ্বস্ত গাজা শহরের দুটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে ছবি দুটি পোস্ট করা হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে-“হে সমগ্র পৃথিবীর মালিক, আপনি গাজাবাসীদের হেফাজত করুন আমিন”। আরেকটি ছবিতে লেখা- “মাগুড়ার আসিয়া মারা গেছে”। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এ সব অঙ্কন দেখে খোঁজ নিয়ে দেখা মিলেছে এক প্রতিভাবান যুবকের। যিনি কথা বলতে পারেন না, কানেও শোনেন না। মনের ভাব প্রকাশ করেন ইশারা ইঙ্গিতে। তবে থেমে থাকেনি তার চেষ্টা। রংতুলিকে আঁকড়ে ধরে আঁকছেন বিভিন্ন গ্রামীণ চিত্র। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর সদরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন এ চিত্রশিল্পী মো. আকছার ভূঁইয়া। তার বাবার নাম ইয়াকুব ভূঁইয়া (বীর মুক্তিযোদ্ধা) ও মায়ের নাম মর্জিনা বেগম। এক বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে আকছার জন্মসূত্রেই প্রতিবন্ধী। নিজেই নিজেকে সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে তৈরি করার পাশাপাশি অন্যদেরও সৃষ্টিশীল মানুষ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন। তার রংতুলিতে আঁকা অসংখ্য ছবি রয়েছে। এসব ছবিতে ফল, পাতা, গাছ, নদী-পাখি, পাহাড়-সমতল, শহরের চিত্র দৃশ্যমান। গ্রামীণ চিত্রে ফুটে উঠেছে স্মৃতিময় ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনুপ্রেরণা মূলক বীরত্ব গাথার কাহিনি। শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন শেখাচ্ছেন আকছার। অসংখ্য শুভাকাক্সক্ষী ও শিক্ষার্থী রয়েছে আকছারের। তার শেখানোর কৌশল আকার-ইঙ্গিত, সহজেই রপ্ত করতে পারে শিশু-কিশোররা। জাতীয় দিবস গুলোতে নবীনগর উপজেলায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় কখনো বিচারক, কখনো শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত থাকেন তিনি। আকছারের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়-তার কাছ থেকে চিত্র অঙ্কণ শিখে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে তারা।