মোয়াজ্জেম হোসেন, নওগাঁ
নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ৭০০০ বিঘা জমি নিয়ে বিশাল নলগরা বিল। যার ৩০০বিঘা জমি সরকারী খাস। ভুমি দস্যুদের কারনে সেই সাত হাজার বিঘা জমির ধান নষ্টের আশংকা।
আশেপাশের ২০টি গ্রামের কৃষক এই নলগারা বিলে চাষাবাদ করে। নিচু জায়গা হওয়ায় বেশীর ভাগ সময় বিলে পানি জমে থাকে ফলে বছরে ১বার শুধু ধান চাষ হয়। এই দিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। মাঠে দুলছে ধান আর কিছু দিনপর কৃষক ঘরে ধান তুলবেন। বর্ষা হলে এই ছোট ক্যানেল দিয়ে পানি নেমে যায়। কিন্তু এই ধান ঘরে তোলার সময়ে মনিরের লোক জন ঈদের ছুটির ফাকে ৮টা ভেকু মেশিন দিয়ে ক্যানেল বরাবর অবৈধ্যভাবে প্রায় ৭০ বিঘা খাস জমি কেটে পুকুর তৈরী করে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দেয়। এতেকরে সাত হাজার বিঘা জমির ধান নষ্টের আশংকা করছে এলাকার কৃষকেরা। কৃষকেরা জানান ক্যানেল বন্ধ হওয়ায় ১ ঘন্টা বৃষ্টি হলে পানিতে ডুবে সকল ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। অভিযুক্ত মনির জানান অন্যের মুল জমি লিজ নিয়ে পুকুর খনন করেছি এখানে কোন খাস জমি খনন করা হয়নি। তবে আমার অজান্তে সামান্য কিছু খাস জমি খনন হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবনুল আবেদীন জানান খবর পেয়ে বক্তারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে ঘটনা স্থলে গেলে লোকজন টের পেয়ে ৫টি ভেকু মেশিন ফেলে পালিয়ে যায়। আটক ভেকু মেশিন জব্দ করে সরকারী বিধিমোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বক্তারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চল বলেন ভুমি দস্যুরা খাস জমি কেটে পুকুর তৈরী করে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দিয়েছে প্রসাশন ব্যবস্থা না নিলে জনগনকে সাথে নিয়ে আমি এর সমাধান করে ফেলব।
সরকারী জমি উদ্ধার পুর্বক ভুমি দস্যুদের শাস্তি ও দ্রুত পুকুরের পাড় ভেঙ্গে সমান করে দিয়ে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা চালু করতে পারলে ধান ঘরে তুলতে পারবে এমনটাই আশা কৃষকের।