ePaper

নওগাঁয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ শিরোনামে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শহরের মুক্তির মোড়ে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি প্রকাশ করেন স্থানীয় ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রনেতা আরমান হোসেন ও নুসরাত জাহান জরি। তাঁরা বলেন, “আগামী ৫ আগস্ট বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি গৌরবময় দিন। ২০২৪ সালের এই দিনে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিজয় অর্জন করে।” বক্তব্যে বলা হয়, “গত বছরের ১ জুলাই থেকে নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল, তা ছিল গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের পক্ষের স্পষ্ট উচ্চারণ। সেই আন্দোলনের এক বছর পূর্তিকে ঘিরেই আমাদের এই আয়োজন।” এতে আরও বলা হয়, “এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শহীদদের স্মরণ, গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারের দাবি পুনরুজ্জীবিত করা এবং তরুণ প্রজন্মকে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে সম্পৃক্ত করা।” সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৮ জুলাই থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে দুই দিনব্যাপী দেয়ালচিত্র বা গ্রাফিতি অঙ্কন করা হবে। সেখানে ফুটে উঠবে আন্দোলনের নানা দৃশ্য, ‘খুনি হাসিনা’র প্রতীকী চিত্র এবং ভবিষ্যতের সম্প্রীতির বাংলাদেশ। ২৫ জুলাই কাজীর মোড়ে ‘বিজয় চত্বর’ নামফলকের উদ্বোধন করা হবে। এই স্থানটিই গত বছরের আন্দোলনের মূল কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। সেদিনের স্মৃতি সংরক্ষণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২৮ জুলাই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি জ্বালিয়ে ও গণসংগীত পরিবেশনের আয়োজন করা হবে। এতে স্মরণ করা হবে আন্দোলনের সময় পালিত ‘ন্যায়বিচারের জন্য লাল’ (রেড ফর জাস্টিস) এবং ‘আমাদের বীরদের মনে রাখো’ (রিমেম্বার আওয়ার হিরোজ) কর্মসূচির তাৎপর্যকে। ২ আগস্ট শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল হবে এবং ৩ আগস্ট নওগাঁয় পথনাটকের আয়োজন করা হবে। এতে অংশ নেবেন আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন এমন মানুষজন। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এসব কর্মসূচির বাইরে অন্যান্য দিনগুলোতেও শহরের বিভিন্ন মোড়ে, বাজারে ও জনবহুল এলাকায় মাইকিং, পদযাত্রা ও সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে চাঁদা ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান জানানো হবে। আয়োজকেরা বলেন, “এই কর্মসূচি কোনো রাজনৈতিক দলের নয়—মানুষের অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে একটি নাগরিক উদ্যোগ।” সংবাদ সম্মেলনে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *