ePaper

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মো. আব্দুস সাত্তার, দিনাজপুর

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপবাদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ চত্বরে এসে শেষ হয়। এতে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে শিক্ষার্থীরা ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে ৩০তম থেকে ৩৪তম ব্যাচের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, একটি কুচক্রী মহল রাতের আঁধারে শহরের বিভিন্ন স্থানে অধ্যক্ষ ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা অপবাদ সম্বলিত পোস্টার লাগিয়েছে। তাদের এসব অপবাদের উদ্দেশ্য অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ন করা। আমাদের সুনামধন্য অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পোস্টার লাগিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পর অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে কলেজ ইতিমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে এবং সর্বশেষ ২৯তম ব্যাচের অসাধারণ ফলাফল এই অগ্রগতির প্রমাণ। তার স্নেহ ও যত্নে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে এবং তিনি কলেজকে আধুনিক ও শিক্ষা-বান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। রাতের আঁধারে যারা আমাদের সম্মানিত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পোস্টার লাগিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। পরে শিক্ষার্থীরা ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে ৩০তম থেকে ৩৪তম ব্যাচের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলী বলেন দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি কলেজকে আধুনিক রূপ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছি। শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। তবে রাতের আঁধারে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো আমাকে মানসিকভাবে কষ্ট দিয়েছে। এই ঘটনা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ও ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে। তবে, অধ্যক্ষ ডা. শেখ সাদেক আলীর প্রতি শিক্ষার্থীদের দৃঢ় সমর্থন ও ভালোবাসা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট গভীর রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়। পরবর্তীতে সচেতন নাগরিক ও পেশাজীবী মহল পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেন। এই ঘটনা কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *