আব্দুস সাত্তার, দিনাজপুর
দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। নতুন বছরের শুরুতে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের আলো না থাকায় এবং উত্তর-পশ্চিমের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় অনুভূত হচ্ছে হাড় কাপানো কনকনে শীত। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। সড়ক ও মহাসড়ক গুলোতে ধীরগতিতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। এদিকে দিনভর হাড় কাঁপানো কনকনে শীত অনুভূত হওয়া বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল অসহায়রা। শহরের চাইতে গ্রামে শীতের প্রকোপ আরো বেশি হওয়ায় হিম শীতল বাতাসে আর হিমেল মাটিতে কাজ করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকরা। দিনাজপুর সদর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের কৃষি শ্রমিক আইয়ুব আলী জানান পেটের তাগিদে জমিত কাজ করিবা হছে। ঠান্ডা মাটিতে কাজ করিবা জাইয়া হাত পা থরবসা হই যাছে কি করিমু কাজতো কবিরা হবি। এই অবস্থায় বেশিক্ষণ কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ইজি বাইক চালক বিমল চন্দ্র দাস জানান তীব্র শীত ও কনকনে বাতাসে গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডার কারণে যাত্রী গাড়িতে উঠছে না। আয় রোজগার কম পরিবার নিয়ে চলাই কঠিন। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, ক্রমেই কমছে দিনাজপুরসহ এই অঞ্চলের তাপমাত্রা। বছরের প্রথম দিন বুধবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিন পরেই গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। পর্যাপ্ত সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় এবং দিনভর উত্তর পশ্চিমের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত।