আহসান বিশ্বাস, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া মিরপুরে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ৪নং বারুইপাড়া ইউনিয়নের আমকাঠালিয়া গ্রামের জিকে সেচ খাল সংলগ্ন বারোপিট জলাশয়ের মৎস খামারে এই হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ওই খামারের সুবিধাভোগী প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। এঘটনায় সুবিধাভোগী সমিতির দলনেতা/সভাপতি শাহানুর রহমান প্রতিকার ও বিচার চেয়ে মিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক ইমরান হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, সেখানে কিছু কলাগাছ কাটা আছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে, যারাই জড়িত থাক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এঘটনায় আমকাঠালিয়া বারোপিট জলাশয়ের সুফলভোগী সংগঠনের দলনেতা/সভাপতি শাহনুর রহমানের দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পানিউন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার কাছ থেকে মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের আমকাঠালিয়া এলাকার জিকে প্রধান সেচখাল সংলগ্ন ৭(সাত) একর আয়তনের বারোপিট জলায়শয়টি নির্ধারিত রাজস্ব প্রদান করে ইজারা নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করে আসছি। এছাড়া জলাশয়ের চারধারে সব্জি ও কলাগাছ চাষ করে আসছি। গত শুক্রবার দুপুরে ৩০/৪০ জনের একদল দূর্বৃত্ত এই খামারে এসে ২(দুই) লাখ টাকা চাঁদা করে। এসময় দাবিকৃত টাকা না পেয়ে তারা খামারের নিরাপত্তা চৌকিসহ মাছের খাবার সংরক্ষনে সেড ঘরটি ভাংচুর করে, জলােেশয়র চারধারের কলাগাছসহ সব্জি বাগানে তান্ডব চালিয়ে তাদের দবিকৃ চাঁদার টাকা পরিশোধের হুমকি দিয়ে যায়। অন্যথায় আমাদের সংগঠনের যাকে পাবে তাকেই প্রান নাশের হুককি প্রদান করে। এসময় তারা খামারের মাছের খাবারের বেশ কিছু বস্তা নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ফুটেজে দেখা যায় সেলিম হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবকের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আমকাঠালিয়া বারোপিট জলাশয়ের সুবিধাভোগী মৎস চাষী সদস্যরা চরম ভীত সন্ত্রস্ত ও আতংকিত জীবন যাপন করছে। মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম জানান, ‘জিকে খাল সংলগ্ন জলাশয়ের দখলকে কেন্দ্র করে এধরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা। এঘটনায় মিজানুর নামের একব্যক্তির দেয়া লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। যারাই জড়িত থাক তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।