মো.তাসলিম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সরাইল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। গত কয়েকদিন ধরে শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। জানা যায়, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। সকাল ৮টার পর সহসা সূর্যের দেখা মিলছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, লোকালয়। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষের। রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। উপজেলা সদরের রিস্কা চালক বাবুল মিয়া বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে রাতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা আর বাতাসে অনেক শীত। এই শীতে অটো রিক্সা চালাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। ভ্যানচালক ভুট্টু বলেন, কনকনে শীতে ভ্যানের হাতলে হাত রাখা যায় না। হাত-পা নিস্তেজ হয়ে যায়। খুব কষ্টে এক বেলা রিকশা চালাচ্ছি। অপরদিকে, হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতের আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ডায়রিয়া সহ এই পর্যন্ত অনেক রোগী ভর্তি আছে। শিশু ও বয়স্করা সর্দি-কাশি নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি এই ঠান্ডার কারণে। ঠান্ডা যাতে না লাগে সকলেই সতর্ক থাকতে বললেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, শীতার্তাদের মাঝে এই পর্যন্ত ২০০ কম্বল উপজেলা প্রশাসন বিতরণ করেছেন। দুঃস্থ অসহায়-সম্বলহীন শীতার্তদের যাতে কষ্ট না হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে আরোও কম্বল বিতরণ করা হবে।