আতিকুর রহমান খান দিপু, বরগুনা
বরগুনা তালতলীতে বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে তালতলী থানা পুলিশ। নিহত প্রেমিক যুগলের নাম ইকবাল হাওলাদার ও লামিয়া বেগম। বৃহস্পতিবার বিকেলে তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া গ্রামে রহিম ডাক্তারের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইকবাল বরগুনা বেতাগী উপজেলার পূর্ব রানীপুর গ্রামের শুক্কুর হাওলাদারের ছেলে ও নিহত লামিয়া পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার সুবিদখালী বাসিন্দা। ইকবাল হাওলাদার গত ছয় মাস আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। নব বধুকে বাড়ীতে রেখে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় চাকরির সন্ধানে চলে যান। গার্মেন্টসে চাকুরী হয় একই গার্মেন্টসে পরিচয় হয় পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী গ্রামের ডিভোর্সি নারী লামিয়ার সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেম। সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে রেখে একই সঙ্গে গার্মেন্টসে চাকরি করা ডিভোর্সি নারী লামিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের এ প্রেমের বিষয়টি বেশিদিন লুকিয়ে রাখতে পারেনি পরিবার সবকিছু জেনে যায়। দুই দিন আগে ইকবাল ওই প্রেমিকাকে নিয়ে কুয়াকাটা ঘুরতে যায়। কুয়াকাটা থেকে গতবুধবার বিকেলে প্রেমিকা লামিয়াকে নিয়ে তালতলী উপজেলার চাউলাপাড়া গ্রামে তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। ইকবালের বোন ও দুলাভাই ঢাকায় বসবাস করেন। ওই বাড়ীতে থাকেন বোনের শ্বশুর রহিম ডাক্তার ও তার মা। ইকবাল এর খোঁজ না পেয়ে পরিবার বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে শুরু করে। পরবর্তীতে জানতে পারে ইকবাল তার প্রেমিকাকে নিয়ে তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে আছে। বৃহস্পতিবার ইকবালের মা হাজেরা বেগম জামাই বাড়ীতে গেলে ছেলে ইকবাল সহ প্রেমিকা লামিয়াকে দেখতে পান। ছেলের সাথে মা গালমন্দ করেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে ছেলে ইকবাল ও তার প্রেমিকা লামিয়া ইকবালের বোনের শশুরের ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না ও রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই বাড়ী থেকে তাদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্য মামলা করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। নবচেতনাকে বলেন, নিহত ইকবাল ও লামিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করতে আসেনি।