কাজী মামুন, পটুয়াখালী
তরমুজ গ্রীষ্মকালীন একটি সুস্বাদু ফল। ঠাণ্ডা তরমুজ গ্রীষ্মকালে বেশ জনপ্রিয়। তরমুজ চাষ করার আগে, বপনের সঠিক সময় এবং সমভূমিতে, ফেব্রুয়ারি মাসে তরমুজ বপন করা হয়ে থাকে তবে স্থান বেধে যদি আপনি এটি পাহাড়ি এলাকায় বপন করতে চান, তাহলে এটি মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে করা হয়। এবং নভেম্বর থেকে জানুয়ারী মাসে নদীর তীরে বপন করা হয়। আসছে মৌসুমে যার ধারাবাহিকতায় ভাটি বা নদী ও সাগর এলাকায় বর্তমানে তরমুজ চাষে বেস তোরজোড় চলেছে চাষী থেকে শুরু করে সার, কিটনাষক, মহাজনদের উপ্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণের এলাকা গুলো। এমনটাই গুরে দেখা গেছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়, প্রতি বছর গিষ্মকালীন সময়ে তরমুজের ব্যপক চাহিদা থাকায় অধিক চাষ লোখ্য মহাজন ও স্থানীয় কিছু অসাধু কর্তা ব্যাক্তি এবং সরকারের দেখভালোর কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সহায়তায় নদীর বুকে জেগে উঠা বিভিন্ন চরগুলোকে ব্যবহার করছে। কিছু কিছু স্থানে দেখা যায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকার বন উজার করে বিড়াট একটি অংশজুড়ে তৈরি করা হচ্ছে তরমুজের মাঠ, এতে করে ১ ফলের আশায় কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধভাবে পকটে বাড়ি করছেন কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অপরদিকে বনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও গোলপাতা সহ ছোট বড় গাছ নিধন করা হচ্ছে কোন প্রকার দালীলিক প্রমান ছাড়াই। এমনো অবস্থায় নদীর তীরবর্তী সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তারা চলমান শীতকে উপভোগ করছেন কোন রকম কার্যক্রম ছাড়াই যেনো কোন অনিয়মই হচ্ছে না। ফোন করে বা কার্যালয়ে গিয়ে অপেক্ষা করলেও দেখা মিলছে না কারো। সুত্রে জানায় বনাঞ্চল চরে তরমুজ চাষ করা বা বনভূমিতে প্রভাব বিস্তার করাকে নিয়ে জেলার, কলাপাড়া, গঙ্গামতি, রাঙ্গাবালী, গলাচিপায় চলছে বিভিন্ন সংগঠনের তদবির ও সেল্টার বাণিজ্য, কে কার দখলে কোন চর নিবে কত টাকায় তা আবার বিক্রি করবে প্রান্তিক কৃষকদের কাছে এনিয়ে তুরমাজ মাঠ এখন চরম উত্তপ্ত। প্রান্তিক চাষিরা বলছেন সরকারের জমিতে চাষ করবো এতে খরচ দিবনা তা কি হয়, বিভিন্ন মৌসুমে মাঠ ক্রয় করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকায় মাঠ নিতে হয়। যার ফলে ফলন শেষে লাভের গুর-টা হাতির পেটে চলে যায়, এতে বদল হয়নি কৃষকদের জীবন মানের ব্যবস্থা। ফসল ভালো হলে কোন কোন মাসে কিছুটা সুখ উকি দিলেও ২-৪ মাস গুরতে শেষ হয় যায় সে সুখ, কখনো আবার অতি বৃষ্টি ও নামহীন বিজের প্রকপে আর ঘুরে ধারাতে পারেন না খেটে খাওয়া কৃষকদের পরিবার। আর খরচের নামে দাদা ও কর্তাব্যক্তিরা মাঠ উত্তপ্ত করায় একদিকে হাড় মাংস এক হওয়া খেটে খাওয়া কৃষক হারায় কাক্সিক্ষত মূল্য এবং স্থানীয় বাজারে পরে এর বিরূপ প্রভাব এতে নাম মাত্র তরমুজ কিনে খেতে অনেক সময় শপ্ন দেখতে হয় হাজারো দিন-মজুর থেকে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের, মন আর সাদ্যর দিক বিবেচনা করে আনেক সময় কেজি বা কাঁটা পিচ হিসবে খেতে হয় যা হবার কথা নয়।