মো. শামীম হোসেন, গাজীপুর
বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিকরা দলে দলে যোগ দিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে বর্ণাঢ্য র্যালী করেন ও ফ্লাই ওভার ব্রিজের নিচে শ্রমিক সমাবেশ করেন। সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন ডার্ড কম্পোজিট টেক্সাটাইল লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড সহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী। উক্ত সমাবেশ ও র্যালীতে সভাপতিত্ব করেন বংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর মহানগরের সভাপতি মো. শফিউল আলম। সংগঠনের গাজীপুর মহানগরের সাধারন সম্পদাক মো. হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ। মো. শফিউল আলম বলেন, ন্যায্য দাবি তোলা শ্রমিকদের তথ্য বিজিএমইএ ডাটাবেজে কালো তালিকাভুক্ত করে রাখা হচ্ছে যার ফলে, শ্রমিকরা অন্য কারখানায় চাকুরী পাচ্ছে না বিধায় শ্রমিককের জীবন জীবিকার উপর মারাত্নক প্রভাব পরছে যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়াও শ্রমিকদের উপর মামলা-হামলা, চাকুরীচ্যুত করার সংখ্যাও বেড়েছে। বেআইনিভাবে চাকুরীচ্যুত শ্রমিকদের পূর্নবহাল ও সকল বন্ধ কারখানা চালু, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মজুরী না দিলে শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ, নারী শ্রমিকদের ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির আইন পাশ, রনা প্লাজা, তাজরিন অগ্নি কান্ড সহ সকল শ্রমিক হত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও পরিবারকে পুনর্বাসন, ০৩(তিন) বছর পরপর মজুরী পুননির্ধারণ, মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে বার্ষিক মজুরী বৃদ্ধি, গার্মেন্টস শ্রমিক সহ শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও ১৮ দফা চুক্তি বাস্তবায়ন, সকল শিল্প কারখানা রেশনিং চালু জাতীয় মজুরী ঘোষণা ইপিজেট শ্রমিকদের শ্রম আইন অন্তর্ভূক্ত সহ সকল শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহণ করেন। সকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. নুরুল আমিন। এদিকে, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কাপাসিয়া উপজেলা শাখা, গাজীপুর অন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়ন, উপজেলা শ্রমিক দল, নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন, রং মিস্ত্রি শ্রমিক ইউনিয়ন, সি এন জি শ্রমিক ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি কাপাসিয়া শাখা, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক পৃথক ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করেন।