ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী
নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী ডেল্টা জুট মিলসটি এখন বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে পরিণত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিলসের গুরুত্বপূর্ন মেশিনারিজ সামগ্রী বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মিলসটির শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শেয়ার হোল্ডাররা মাঝে অসন্তোষ ও এলাকায় বিরাজ করছে ক্ষোভ। এমনিতে কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে বন্ধ হওয়ার পথে ঐতিহ্যবাহী এই মিলসটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার বেকার সমস্যা দূনীরকনের লক্ষে ১৯৬৩ সালে নোয়াখালীর কৃতি সন্তান আলহাজ্ব আবদুর রবের নেতৃত্বে ডেল্টা জুট মিলসটি প্রতিষ্ঠা হয়। আদমজী জুট মিলস এর পর দেশের বৃহত্তম পাট কল ডেল্টা জুট মিলস। এক সময় এখানে হাজার হাজার শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কাজ করতো। এখানকার উৎপাদিত পন্য দেশে-বিদেশে ছিলো সমাদ্রিত। কিন্ত কালক্রমে এখন মিলসটি বন্ধের পথে। মিলসটি ঠিকমতো না চালিয়ে বিভিন্ন সময় দামি মেশিনারিজ বাইরে বিক্রি করা ও গোডাউনগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে মিলস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যা সরকারী খাস ভূমি বন্দোবস্ত এর বিরোধী। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে মিলসটির ভঙ্গুর দশা। নাম মাত্র কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছে। তাও তাদের বেতন ভাতা নিয়মিত দেওয়া হচ্ছেনা। এদিকে মিলসটি থেকে বিগত বছরে প্রায় ৩ কোটি টাকার সচল মেশিনারিজ ভাঙ্গারী হিসেবে বিক্রি দেওয় হয়। বছর বছর এমন অনিয়ম চললেও মিলস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকার বা সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয় কোন প্রকার ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। অপরদিকে পুরোদমে মিলসটা চালু করতে শ্রম ও শিল্প উপদেষ্টাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শেয়ার হোল্ডাররা লিখিত অভিযোগের পরও কোন বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এ নিয়ে শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শেয়ার হোল্ডারদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। যা এক সময় সংঘাতে রুপ নিতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এ সব বিষয়ে ডেল্টা জুট মিলস এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, মিলস কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে মিলসের গোডাউন ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সচল মেশিনারিজ ভাঙ্গারী হিসেবে বিক্রি বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।